জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:  'দলের দুই যুবনেতার নাম বলতে চাপ দিচ্ছে সিবিআই। পরিকল্পনামাফিক সিবিআই তদন্ত করতে এসেছে। রাজনৈতিক স্বার্থে তদন্ত করছে সিবিআই। আমি রাজনৈতিক দলের চক্রান্তের শিকার। ষড়যন্ত্র করছে আমাদের দল তৃণমূলের একাংশ। ষড়যন্ত্র করছে তৃণমূল-বিজেপি দলের লোকেরা। টিনা সাহা সহ অনেকে ষড়যন্ত্রে জড়িত। সিবিআইকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। আমার কাছ থেকে কিছুই পায়নি সিবিআই। সিবিআই বলছে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার দুটো মোবাইল নিয়েছে সিবিআই। আমার ছেলের কাগজপত্র নিয়েছে।' জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জল চোখে বললেন বিধায়ক তাপস সাহার। একইসঙ্গে জানালেন, 'আমি দল ছাড়ব না, তৃণমূল কংগ্রেস করব।' পাশাপাশি, একথাও স্পষ্ট জানালেন যে দলের কোনও নেতামন্ত্রী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে ১৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালায় সিবিআই। তল্লাশিতে গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলেছে বলে খবর। সিবিআই সূত্রে খবর, তল্লাশি তাপস সাহার বাড়িতে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত নথি মিলেছে। পাশাপাশি, মিলেছে একাধিক সরকারি দফতরে নিয়োগের নথিও। বিধায়কের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। যদিও জি ২৪ ঘণ্টাকে একান্ত সাক্ষাত্কারে চাঞ্চল্যকর দাবি তাপস সাহার। তেহট্টের বিধায়কের দাবি, সিবিআই-ই বলছে রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার তিনি। যে সমস্ত তথ্য ওরা জানতে চেয়েছে, সেসব কিছু পায়নি। হতাশ হয়ে ফিরছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক। সিবিআই সূত্রে খবর, তাপস সাহাকে আগামি সপ্তাহে তলব করা হবে। যেদিন তলব করা হবে, সেদিনই তাঁকে হাজিরা দিতে হবে।


উল্লেখ্য, এর আগেও তাপস সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। এরপর শুক্রবার ফের তাপস সাহার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। ১৫ ঘণ্টা ধরে চলে সেই তল্লাশি। এদিকে এই তল্লাশির আগেই বিস্ফোরক দাবি করেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক। তাপস সাহা দাবি করেছেন,'রাজ্যের নেতারা নামেই নেতা। মমতা-অভিষেক ছাড়া কাউকে বলে লাভ হয় না। তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্বকে বলে লাভ হয় না। মমতা-অভিষেকের কাছে চিঠি পাঠালেও পৌঁছয় না।' তিনি আরও দাবি করেছেন, 'পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় দুর্নীতি করেননি। মানিক ভট্টাচার্য করেছেন। দলের পরিস্থিতি ভালো না। ৪ বছরে টিনা সাহা ৪০ কোটির মালিক হয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে এবং সুমিত বলে দায়িত্বে রয়েছে আমাদের একটি ছেলে। এদের নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন টিনা সাহা ভৌমিক। যেদিন দল জানতে পারবে এই মেয়েটি এরকম, সেদিন দলের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। ওদের ভাঙিয়ে খাচ্ছে টিনা। গোটা বিষয়টি নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি।'


আরও পড়ুন, Ayan Shil, Recruitment Scam: উচ্চ প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের মদতেই পুরসভায় ২০০ কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতি!



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)