নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্লাসরুমের দেওয়াল জুড়ে প্রকৃতি। গ্রহ-নক্ষত্রে ঘেরা এক আকাশ আনন্দ। না, বেসরকারি আদলে ঝাঁ চকচকে, স্মার্ট ক্লাসের উঁকিঝুঁকি এখানে নেই। সরকারি স্কুলেই আছে, পড়াশোনার এক অনন্য পরিবেশ। প্রত্যন্ত গ্রাম। ঘরে ঘরে পৌঁছচ্ছে সাক্ষরতার  আলো। শিক্ষার উজ্জ্বল আলোয় ঘুচে যাচ্ছে নিরক্ষতার অন্ধকার। সরকারি সাহায্যে পঠনপাঠনে এক নতুন দিশা দেখছে পড়ুয়ারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শহর থেকে গ্রাম বেসরকারি স্কুলের রমরমা। ঝাঁ চকচকে ক্লাসরুম, উন্নতমানের প্রযুক্তি, পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করার নানা ধরনের পন্থা। অনেকেই ভাবেন, সরকারি স্কুলে সেসব আর কোথায়?  বালুরঘাট ব্লকের দুর্লভপুর প্রাথমিক স্কুলে এলে ভাবনাটা বদলে যেতে বাধ্য। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এই প্রাথমিক স্কুল  বদলে দিয়েছে এলাকার চালচিত্র। দূর-দূরান্ত থেকেও ছাত্র-ছাত্রীরা এসে ভিড় জমাচ্ছে এই প্রাথমিক স্কুলে। বর্তমানে, স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১২০। শিক্ষক রয়েছেন ৫ জন। রয়েছে নিজস্ব লাইব্রেরি। আলাদা ধরনের ক্লাসরুম। উন্নতমানের শৌচাগার। সুদৃশ্য রন্ধনশালা



আরও পড়ুন- সড়ক সম্প্রসারণের জেরে বন্ধের মুখে রায়গঞ্জের ঐতিহ্যবাহী হাট, বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা


স্কুলের ভেতরে রয়েছে বিভিন্ন মনীষীদের মূর্তি। স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিদিন ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে এসে গাছ থেকে ফুল মনীষীদের পায়ে দিয়ে পঠনপাঠন শুরু করে। রয়েছে পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে রোজের পাঠ্যক্রমকে আরও মনোগ্রাহী করে তোলার অভিনব ভাবনা। সরকারি এই স্কুলের রমরমার কাছে এলাকায় মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। পঠন-পাঠনের এই ধারায় খুশি অভিভাবকরাও।


চানক্য বলেছেন, বিদ্যা দদাতি বিনয়ং...। বিদ্যা বিনয় দান করে, আর দুর্লভপুর প্রাথমিক স্কুলের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদ্যাদানের মাধ্যমে যে সর্বাঙ্গীন বিকাশ সাধন করবে, তা বলাই বাহুল্য।