নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল ১৬ বছরের এক কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরের যোগী বটতলা ডিহি গ্রামে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ মাস আগে ফোনে সুব্রত নামে  যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ হয় ওই কিশোরীর। বেশ কিছুদিন চ্যাটিংয়ের পর সুব্রতকে বেশ পছন্দ হয়ে যায় কিশোরীর। সরসারি সুব্রতকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সে। কিন্তু সুব্রত সেই প্রস্তাব অস্বীকার করতেই ভেঙে পড়়ে ওই কিশোরী।


আরও পড়ুন, বিয়ের পরও ফোনে যোগাযোগ প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকার, দেখা করতে ডেকে খুনের চেষ্টা যুবকের


মানসিক অবসাদে এরপরই আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় সে। তার জীবনের এই ঘটনার পুরো বিবরণ একটি সুইসাইড নোটে লিখে রেখে যায় ওই কিশোরী। সেই সুইসাইড নোট দেখেই পুরো বিষয়টি জানতে পারেন ওই কিশোরীর বাড়ির লোকেরা।


আরও পড়ুন, ১টা আলো, ১টা পাখার ঘরে বিল এল ২ লাখ ৯৪ হাজার! রাজ্যে সিস্টেমের হাল বেআব্রু হল এঘটনায়


ওই কিশোরীর বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তাঁরা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগে বাড়ির কাছেই একটি আম গাছে নিজের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে। বাড়ি ফিরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হয় বাড়ির লোকেদের। অনেক ডাকাডাকির পরেও কোনও সাড়া না মেলায় শুরু হয় খোঁজ।


আরও পড়ুন, গাছের আড়ালে ৫০ বছরের প্রৌঢ়ের সঙ্গে বছর ২০-র যুবতীকে এ অবস্থায় দেখে চমকে উঠলেন স্থানীয়রা!


এরপরই ওই কিশোরীর ঘরে ঢুকে তাঁদের চোখে পড়ে ডায়েরির পাতায় গোটা গোটা হরফে লেখা সুসাইড নোটটি। মাকে উদ্দেশ করে লেখা ওই সুইসাইড নোটে বার বার সুব্রতকে ভালোবাসার কথা জানিয়েছে ওই কিশোরী। লিখেছে, সুব্রতকে ছাড়া সে বাঁচতে পারবে না। এই সুইসাইড নোটটি পড়েই মেয়ের সম্পর্ক, বিয়ের প্রস্তাব, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার কথা জানতে পারেন তাঁরা। তারপরই খোঁজাখুঁজির সময় বাড়ির সামনে আম গাছে ওই কিশোরীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।



আরও পড়ুন, মায়ের পাশে ঘুমিয়েছিল ৯ মাসের শিশু, ঘুমের ঘোরে হামাগুড়়ি দিয়ে পড়ে মৃত্যু


সঙ্গে সঙ্গেই বারুইপুর থানায় খবর দেয় কিশোরীর পরিবার। পুলিশ গিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। বারুইপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা ওই কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত সুব্রতর খোঁজ শুরু করেছে পুলিস। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত।