Chandrakona: বিল বকেয়া, বন্ধ জেনারেটর; বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে হাসপাতাল

৬০ সজ্জা বিশিষ্ট পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি। চন্দ্রকোনা ছাড়াও পাশের গড়বেতা,কেশপুর ব্লকের অনেক গ্রামের মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পেতে এই চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ছুটে যান বলেই জানা গেছে।

Updated By: May 25, 2022, 08:43 AM IST
Chandrakona: বিল বকেয়া, বন্ধ জেনারেটর; বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে হাসপাতাল
নিজস্ব চিত্র

চম্পক দত্ত: বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে ডুবে যায় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল। বহু বছর ধরে পরে রয়েছে বকেয়া বিল। জানা গেছে জেনারেটর পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে টেন্ডার নেওয়া কোম্পানি। হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটরও বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। বিদ্যুৎ চলে গেলেই অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা হাসপাতাল। 

৬০ সজ্জা বিশিষ্ট পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি। চন্দ্রকোনা ছাড়াও পাশের গড়বেতা,কেশপুর ব্লকের অনেক গ্রামের মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পেতে এই চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ছুটে যান বলেই জানা গেছে। জানা গেছে পরিবেশ ভাল থাকলেও রোগী পরিষেবার ক্ষেত্রে আগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে এই গ্রামীণ হাসপাতালটি। 

জানা যায়,বিদ্যুৎ চলে গেলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে হাসপাতালের নিজস্ব একটি জেনারেটর মেশিন ছিল তা বহু বছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। খড়গপুরের এক সংস্থাকে টেন্ডার দিয়ে হাসপাতালে জেনারেটর পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় সাড়ে তিনবছর যাবৎ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই সংস্থাকে তাদের প্রাপ্য প্রায় ১৪-১৫ লক্ষ টাকা বিল মেটায়নি বলেও জানা গেছে। টাকা না মেটানোয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়ে দেয় তারা।

তাই বর্তমানে বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা হাসপাতাল চত্বর থেকে শুরু করে রোগীদের ওয়ার্ড। এর ফলেই চরম ভোগান্তিতে পড়ে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রোগী এবং তাদের পরিজনেরা। 

হাসপাতালের এহেন বেহাল অবস্থায় ক্ষুব্ধ রোগী এবং তাদের পরিজন সহ এলাকাবাসী। সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন হাসপাতালের বিএমওএইচ ডঃ স্বপ্ননীল মিস্ত্রি। তিনি বলেন,"আমি হাসপাতালে যোগ দিয়েছি সবে ৬-৭ মাস হবে। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার এই বিষয়টি নিয়ে সিএমওএইচকে লিখিত আবেদন করেছি।" তিনি আরও বলেন, "বছর দুয়েক সিজার পরিষেবা বন্ধ ছিল চিকিৎসকের অভাবে। হাসপাতালে দু'এক দিনের মধ্যে সিজার পরিষেবা চালু হবে। জেনারেটর না থাকলে সেক্ষেত্রে বড়ো সমস্যায় পড়তে হবে। সিএমওএইচ সহ স্থানীয় বিধায়ককেও বিষয়টি জানানো হয়েছে বিকল্প কিছু করার জন্য।" 

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে মালদহ থেকে সাইকেলে কলকাতার পথে 'কন্যাশ্রী' সায়ন্তিকা

এত বছর কেটে গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন তাদের নিজস্ব জেনারেটর ঠিক করায়নি। কেন টেন্ডার নেওয়া জেনারেটর কোম্পানির বিল বছরের পর বছর বকেয়া রইল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এত পুরনো একটি হাসপাতালে বিদ্যৎ চলে গেলে কেন রোগীদের অন্ধকারে ডুবে থাকতে হবে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সকলেই।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

 

.