আনলক-৪ এ ফের কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করলেন পরিযায়ীরা
তাদের নাম ধাম দিতে বলা হয়েছিল তা দিতে পারেনি রাজ্য। আর এরাজ্যে কাজ না থাকায় বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছে পরিযায়ীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা অতিমারি ঠেকাতে দেশে শুরু হয়েছিল লকডাউন। কর্মস্থলে বেশ কিছুদিন আটকে থাকার পর শ্রমিক স্পশাল ট্রেনে অথবা বাসে করে ঘরে ফিরতে হয়েছিলো পরিযায়ী শ্রমিকদের। আনলক ৪ শুরু হতেই সেই পরিযায়ীরাই তাদের কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করলো।আর এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি তৃনমূলে তরজা।
মুম্বই, বেঙ্গালুরু- সহ দেশের বিভিন্ন শহরে জুয়েলারি শিল্পে বাংলার বহু শ্রমিক কাজ করে। হুগলির চণ্ডীতলা ডানকুনি থেকেও বহু যুবক সেই কাজে যুক্ত রয়েছে।লকডাউনের জেরে তাদের কাজ ছেড়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল। মুম্বই বেঙ্গালুরুতে কাজ করে যে পারিশ্রমিক তারা পেতো তাদিয়ে তাদের সংসার চলে যেতো।এখন বাড়িতে বসে থেকে তাদের আর চলছে না।
কিছু পরিযায়ী একশো দিনের কাজ করলেও সেই কাজ তাদের ভবিষ্যৎ নয়।হাতে কাজ না থাকায় করোনা আবহের মধ্যেই আবার পুরোনো কাজোর জায়গায় ফিরে যাচ্ছে তারা।চন্ডীতলা ডানকুনি এলাকা থেকে বাস ভাড়া করে গত কয়েকদিনে শতাধিক পরিযায়ী তাদের কর্মস্থলে ফিরে গেছে।
অন্যান্য জেলা থেকেও ফিরছে পরিযায়ীরা।তাদের বক্তব্য এখানে কোনও কাজ নেই।আর তারা যে কাজ জানে সেই কাজের কোনো ব্যবস্থা এরাজ্যে নেই।বাড়িতে বসে বসে আর কতদিন চলবে তাই আবার ফিরতে হচ্ছে ভিনরাজ্যে।পরিযায়ীদের সুরে সুর মিলিয়ে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের অভিযোগ রাজ্য সরকারের অসহযোগীতায় কেন্দ্র সরকারে বরাদ্দ অর্থ পরিযায়ীরা পায়নি। তাদের নাম ধাম দিতে বলা হয়েছিল তা দিতে পারেনি রাজ্য। আর এরাজ্যে কাজ না থাকায় বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছে পরিযায়ীরা।
চাকরি দেওয়ার নামে প্রতিবন্ধী যুবকের সঙ্গে প্রতারণা, কাঠগড়ায় বিজেপি যুব মোর্চার নেতা
তৃনমূলের দাবি, কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্থান সবচেয়ে বেশি। তাহলে কি বোঝায় রাজ্যে কাজ নেই? আসলে কিছু লোক ভিনরাজ্যে ১৫-২০ বছর ধরে রয়েছে। সেখানে দোকান, ব্যবসা রয়েছে তাই তারা সেখানে যাচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে ভিনরাজ্য থেকে যারা এসেছে তাদের জন্য যা করেছে রাজ্য সরকার তা দেখে অন্য রাজ্যের শিক্ষা নেওয়া উচিত।