গন্ধেশ্বরী নদী পার হতে গিয়ে তলিয়ে গেল যুবক , রাতভর তল্লাশিতেও মেলেনি খোঁজ

নদীবক্ষে রাতভর তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালিয়েও ওই যুবকের কোনো হদিশ মেলেনি বলেই খবর। নিখোঁজ যুবকের পরিচয়ও পাওয়া যায়নি ।

Edited By: অধীর রায় | Updated By: Jul 10, 2020, 11:11 AM IST
গন্ধেশ্বরী নদী পার হতে গিয়ে তলিয়ে গেল যুবক , রাতভর তল্লাশিতেও মেলেনি খোঁজ
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে বাঁকুড়া শহর লাগোয়া সতীঘাটে সদ্য ভেঙেপড়া গন্ধেশ্বরী নদীর অস্থায়ী সেতু পেরোতে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে যায় এক যুবক । স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি বৃহস্পতিবার রাতে এক যুবক ওই ভাঙা সেতু দিয়ে নদী পারাপার করার চেষ্টা করছিলেন । ওই যুবক যখন নদী পারাপার করছিলেন সেই সময় ফের হড়কা বান আসে গন্ধেশ্বরী নদীতে।

স্থানীয়দের কেউ কেউ ওই হড়কা বানে যুবককে নদীর জলের তোড়ে তলিয়ে যেতে দেখেছেন বলেও দাবি করেছেন । ঘটনার খবর জানাজানি হতেই উদ্ধারকাজে নামে সিভিল ডিফেন্স ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কর্মীরা। নিখোঁজ যুবকের খোঁজে স্পিড বোট নিয়ে নদীবক্ষে রাতভর চলে তল্লাশি। নদীবক্ষে রাতভর তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালিয়েও ওই যুবকের কোনো হদিশ মেলেনি বলেই খবর। নিখোঁজ যুবকের পরিচয়ও পাওয়া যায়নি ।

এই গব্ধেশ্বরী নদীর উপর পারাপার করার জন্য আগে পাকা সেতু ছিল । কিন্তু ২ বছর আগে বন্যায় সেতুটি ভেঙে যায় । নতুন করে সেতু তৈরির কাজ শুরু হলেও বর্তমানে তা থমকে আছে । ফলে এলাকার মনুষের বাঁকুড়া শহর থেকে কেসিয়াকোল এবং দুর্গাপুর হাইওয়ে যাওয়ার  যাওয়ার জন্য বেশ কয়েক কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হত ।এছাড়া দুর্গাপুর হাইওয়েতে যাওয়ার এটা বাঁকুড়া মানুষের কাছে সহজ রাস্তা  । সেই সমস্যা সমাধানে বাঁকুড়া পুরসভা গন্ধেশ্বরী নদীর উপর মাটি ফেলে উঁচু করে একটা অস্থায়ী রাস্তা বানিয়ে দেয । যেহেতু নদীতে সারা বছর জল থাকে না তাই অনেকটা পথ মাটির তৈরি ।

আর যেখানে জল আছে সেখানে কজওয়ে অর্থাত পাইপ দিয়ে অস্থয়ী সেতু বানিয়ে দিয়েছিল । কিন্তু দিনতিনেক আগে ভারি বর্ষায় সেই পাইপের অস্থায়ী সেতুটি ভেঙে যায় । প্রশ্ন উঠছে যুবকটি তলিয়ে গেল কিভাবে ?  দুটো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে । প্রথমত অস্থায়ী পাইপের সেতুটি যে ভেঙে গেছে সেটা ওই যুবক জানত না ।

আরও পড়ুন: দুমড়ে গেল গাড়ি, বুকে গুলি! মধ্যপ্রদেশ থেকে পুলিস নিয়ে আসার সময়ে মৃত্যু বিকাশ দুবের

তাই রাতের অন্ধকারে মাটির উঁচু রাস্তা শেষ হতেই আচমকা নদীতে পড়ে যায় ।আবার কেউ কেউ বলেছে কাছের গ্রামে অনেক শ্রমিক আছে , যারা কাজ শেষে নদীতে এসে স্নান করে । স্নান করতে এসেও তলিয়ে যেতে পারে । তবে কাছে গ্রামের কোন ঘটনা হলে এতক্ষণে খোঁজখবর শুরু হয়ে যেত । এখনও পর্যন্ত তলিয়ে যুবকের কোম হদিশ পাওয়া নি । তাই প্রকৃত সত্য এখনও অধরা ।

.