Rajpur-Sonarpur Municipality: পানীয় জলের সংযোগ চালু হওয়ার আগেই জলকর নিয়ে শুরু বিতর্ক, আন্দোলনে নামার হুমকি সিপিএম-এর
বুদঘাট ইনটেক জেটি থেকে গার্ডেনরিচ, পোর্ট ক্যানাল রোড, টালিনালা হয়ে পাইপ লাইনের মধ্যে দিয়ে জল এসে পৌঁছাবে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার অন্তর্গত গড়িয়া এলাকায় ৷ পুর এলাকা জুড়ে এরজন্য মোট ২৩টি রিজার্ভার তৈরি করা হয়েছে ৷ কেন্দ্র, রাজ্য ও পুরসভার যৌথ অংশীদারিত্বে শুরু হয়েছে এই কাজ ৷ প্রথমে ৭০০ কোটি টাকা বাজেট ধরা হলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা ৷
তথাগত চক্রবর্তী: পানীয় জলের সংযোগ চালু হওয়ার আগেই জলকর নিয়ে শুরু বিতর্ক। ভুগর্ভস্থ জল বাঁচাতে এক বছরের মধ্যে বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পক্ষ থেকে ৷ ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয়েছিল পানীয় জল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ ৷ সেইকাজ বর্তমানে শেষের মুখে বলে দাবী পুরকর্তাদের ৷
বুদঘাট ইনটেক জেটি থেকে গার্ডেনরিচ, পোর্ট ক্যানাল রোড, টালিনালা হয়ে পাইপ লাইনের মধ্যে দিয়ে জল এসে পৌঁছাবে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার অন্তর্গত গড়িয়া এলাকায় ৷ পুর এলাকা জুড়ে এরজন্য মোট ২৩টি রিজার্ভার তৈরি করা হয়েছে ৷
কেন্দ্র, রাজ্য ও পুরসভার যৌথ অংশীদারিত্বে শুরু হয়েছে এই কাজ ৷ প্রথমে ৭০০ কোটি টাকা বাজেট ধরা হলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা ৷ একদিকে যখন পাইপ লাইনের কাজ চলছে জোর কদমে তখন পুরসভার পক্ষ থেকে সার্ভে করার কাজও শুরু হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: Md Salim: 'সুপ্রিম কোর্টেরও এইরকম সাহস সঞ্চার করা উচিত’, বিস্ফোরক মন্তব্য বাম নেতা মহম্মদ সেলিমের
মূলত তিন রকমের সার্ভের ফর্ম রয়েছে। প্রথমটি নিজস্ব মালিকানাধীন বাড়ির জন্য, দ্বিতীয়টি বহুতল আবাসনের জন্য, তৃতীয়টি বানিজ্যিক কারণে যারা জল নেবেন তাদের জন্যও আলাদা করে সার্ভে করা হচ্ছে ৷
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রতি জন পিছু ১৩৫ লিটার করে জল দেওয়া হবে ৷ এর জন্য বাড়ি বাড়ি বসানো হবে মিটার ৷ এই মিটার বসানোকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর ৷
জলকর বসানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই ৷ সিপিএম-এর জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অনির্বান ভট্টাচার্যর বক্তব্য জলকর বসানো যাবে না ৷ মানুষকে বিনামুল্যে পরিস্রুত পানীয় জল দিতে হবে ৷ তা নাহলে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: ফের তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রাজ্যে, তাপমাত্রা পৌঁছাবে ৪০-এর ঘরে
একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ এই জলপ্রকল্পের টাকাও নয়ছয় করা হয়েছে ৷ পুরসভার জল বিভাগের পৌর পারিষদ সদস্য নজরুল আলি মন্ডল অবশ্য জানিয়েছেন পানীয় জলের অপচয় রুখতে তারা মিটার বসাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোনও জলকর নেওয়া হবে না ৷ তবে বানিজ্যিকভাবে যারা জল ব্যবহার করবেন তাদের কাছ থেকে কর নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
যদিও কত টাকা কর নেওয়া হবে তা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পুরপ্রধান পল্লব দাস জানিয়েছেন জলকরের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি ৷