লকডাউনে কাজ নেই, বিশ্বকর্মা ঠাকুর বানিয়ে অনলাইনে বিক্রির আর্জি দর্জির
নিজের দর্জির দোকান সীতারাম টেলার্সের এক কোনায় সেলাই মেশিনটিকে সরিয়ে বিশ্বকর্মা ঠাকুর সাজিয়ে বিক্রি শুরু করেছেন সীতারাম এবং তাঁর ছেলে রঞ্জিত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অনলাইনে বিশ্বকর্মা ঠাকুর। সঙ্গে হোম ডেলিভারির অফার। এই খবর ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। এতদিন যে বিশ্বকর্মার আশীর্বাদ নিয়ে দিন চালাতেন, এখন সেই বিশ্বকর্মা প্রতিমা বিক্রি করে দিন চালানোর কথা ভাবছেন সীতারাম হাট।
দু তিন বছর আগেও সীতারাম টেলার্সে সেলাই মেশিন বন্ধ রেখে বিশ্বকর্মা পুজো করতেন সীতারাম হাট। এবার যেন বিশ্বকর্মা মুখ ঘুড়িয়ে নিয়েছেন। রেডিমেডের রমরমা বাজারে পাড়ার দর্জি ব্যবসা ধুঁকছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। লকডাউন পাড়ার টেলারিং ব্যবসায় কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দিয়েছে। সেই ধাক্কা সামলাতে বিশ্বকর্মাকেই অবলম্বন করে বাঁচার পথ খোঁজার চেষ্টা করছেন সীতারাম হাট।
আরও পড়ুন: সারমেয়কে চাপা, প্রতিবাদ করায় দুষ্কৃতী হামলা এলাকাবাসীদের ওপর
নিজের দর্জির দোকান সীতারাম টেলার্সের এক কোনায় সেলাই মেশিনটিকে সরিয়ে বিশ্বকর্মা ঠাকুর সাজিয়ে বিক্রি শুরু করেছেন সীতারাম এবং তাঁর ছেলে রঞ্জিত। দর্জির দোকানে বিশ্বকর্মা ঠাকুর সাজিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে ছড়িয়ে দিলেন সেই ছবি। সঙ্গে অনুরোধ, সুলভে বিশ্বকর্মা কিনতে আসুন সীতারাম টেলার্স-এ। আধুনিকতাকে হাতিয়ার করে বিশ্বকর্মা প্রতিমার হোম ডেলিভারি অফার ফেসবুকে পোস্ট করা হয়।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি এবং লেখা। ঠাকুর গড়ার কাজ টুকটাক আগেই জানা ছিল তার। এই দুরবস্থায় প্রতিমা তৈরি করেই তা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন বাপ-বেটা। কিন্তু তাতেও সেইভাবে সাড়া পাননি। ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল। লাইক মিললেও, মেলেনি খদ্দের। শেষ পর্যন্ত কী হবে সেই দুশ্চিন্তাই গ্রাস করেছে হাট পরিবারকে।