আমফানে যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে, প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে সাহায্য রাজ্য সরকারের!

"আমফানের দাপটে অনেকেরই বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, থাকার জায়গাটুকু নেই। তাঁদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে দেবে সরকার।" এই ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে একটা টাস্ক ফোর্সও গঠন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

Updated By: May 27, 2020, 05:39 PM IST
আমফানে যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে, প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে সাহায্য রাজ্য সরকারের!
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: আমফানের গ্রাসে যাঁরা মাথার ছাদটুকুও হারিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে এককালীন ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, "আমফানের দাপটে অনেকেরই বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, থাকার জায়গাটুকু নেই। তাঁদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে দেবে সরকার।" এই ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে একটা টাস্ক ফোর্সও গঠন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝড়ের দাপটে উপড়ে গিয়েছে বহু জায়গায় টিউবওয়েল। সেক্ষেত্রে টিউবওয়েলের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার।

মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া হিসাব অনুযায়ী-

** আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৬ কোটি মানুষ।

** রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮৭ জনের।

** ক্ষতিগ্রস্ত ৮.১৩ লক্ষ  লোককে সরানো হয়েছে অন্যত্র।

এক নজরে দেখে নিন সরকারি হিসাবে রাজ্যে ক্ষতির খতিয়ান

** আমফানে বিদ্যুতের পোল ভেঙে সাড়ে চার লক্ষ ।

** ৩০০টি ব্রিজের কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।

** কৃষি জমি সাড়ে দশ লক্ষ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।

 ** এক লক্ষ পানের বরজ নষ্ট হয়েছে ।

 ** ৪৭১০ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা ভেঙেছে ।

** ২১টি জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।

 ** ১৬০ কিমি নদী বাঁধ ভেঙেছে ।

** ১ লক্ষ ১০ হাজার স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত ।

 ** ৫৮ হাজার হেক্টর মাছ চাষের পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।

বিদ্যুত বিপর্যয়ের ব্যাপারেও দুই দফতরের এলাকা ভাগ করে পরিসংখ্যান দেন মুখ্যমন্ত্রী

সিইএসসি এলাকার হিসাব

** ৩৩ লক্ষ গ্রাহকের মধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় ৩২.৭ লক্ষ মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।

** ৩০ হাজার গ্রাহকের বাড়িতে বিদ্যুৎ দেওয়া বাকি থাকবে।

 ** ওই জায়গায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করতে হবে।

রাজ‍্য বিদ‍্যুৎ বন্টন সংস্থার হিসাব

** ১০৩ টা পুরসভার মধ‍্যে ১০১ টা পুরসভা এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

** পূজালি ও গোবরডাঙা পুরসভায় এখনও একটু সমস‍্যা রয়েছে।  দুই পুরসভা এলাকাতেও বিদ্যুৎ ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন- ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাজ্যের সব সরকারি স্কুল, তবে উচ্চমাধ্যমিক নির্দিষ্ট দিনেই

চতুর্থ দফার লকডাউন শেষে স্কুল খোলার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করছিল রাজ্য সরকার। তবে মাঝে আমফানের তাণ্ডবে ফের একবার সব হিসাব গুলিয়ে যায়। এছাড়াও প্রচুর সরকারি স্কুলকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যের সব সরকারি স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান।

.