নিজস্ব প্রতিবেদন: গেরুয়াশিবিরের ভাঙন। দলে ফিরতে চেয়েছেন ২ জন সদস্য। রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আরও ৫ জন যোগাযোগ করেছেন বলে খবর। বিজেপি পরিচালিত মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধে এবার অনাস্থা আনল তৃণমূল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আগে ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল, মালদহ জেলা পরিষদ এখন বিজেপির দখলে। ভোটের আগে ১৫ জন সদস্যকে নিয়ে গেরুয়াশিবিরে নাম লেখান সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল। ফলে জেলা পরিষদ হাতছাড়া হয়ে যায় শাসকদলের। এবার সেই সভাধিপতির বিরুদ্ধেই মালদহের ডিভিশনার কমিশনারের কাছে পাল্টা অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করল তৃণমূল। জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নূরের দাবি, '৩৭ আসনের জেলা পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য় প্রয়োজন ১৯টি আসন। আমাদের সঙ্গে রয়েছেন ২৩ জন'।


আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভবনের মধ্যেই মহিলা প্রধানকে চুলের মুঠি ধরে মারধর, কোনওক্রমে বাঁচাল পুলিস


প্রসঙ্গত, একুশের ভোটে প্রার্থী হওয়ার পরেও দলবদল করেছিলেন মালদহ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সরলা মুর্মু। তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি। কিন্তু নতুন দলে সেভাব সক্রিয় ছিলেন না সরলা। উল্টে এখন পুরনো  দলেই ফিরতে চাইছেন তিনি। এমনকী, দলত্যাগী আরও ৫ জেলা পরিষদ সদস্য়ও তৃণমূলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে সূত্রের খবর।


মানিকচকের ভূতনী দ্বীপের ২৩ নম্বর আসনে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য ছিলেন ডলিরানি মণ্ডল। ভোটের আগে দলবদল করেছিলেন তিনি। দিন কয়েক আগে দলনেত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন ডলিরানি। এই যখন পরিস্থিতি, ঠিক তখনই মালদহ জেলা পরিষদের তৃণমূলের এই অনাস্থা প্রস্তাব অত্যন্ত তাত্‍পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এই অনাস্থা প্রস্তাবকে আমল দিতে রাজি নন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল। তাঁর দাবি, 'সংখ্য়াগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেখিয়েই ক্ষমতা ধরে রাখবে বিজেপি'। 


(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)