তৃণমুল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা মুরারইয়ে
ঘটনায় দুই পক্ষের ১০ জনকে আটক করেছে মুরারই থানার পুলিস। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে।
প্রসেনজিৎ মালাকার: তৃণমুল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল বীরভূমের মুরারইয়ের ডুমুরগ্রামে। তৃণমুল কংগ্রেসের নির্বাচনী কার্যালয় সহ চার থেকে পাঁচটি বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। আহত হয়েছে উভয় পক্ষের চারজন। আহতদের উদ্ধার করে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় দুই পক্ষের ১০ জনকে আটক করেছে মুরারই থানার পুলিস।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই ডুমুরগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান কাজী আসরাফুল ওরফে নবাব গোষ্ঠীর সঙ্গে একই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর স্বামী টনিক সেখের বিবাদ শুরু হয়। গতকাল রাতে কাজী আশরাফুল গোষ্ঠীর লোকজন আলি আসগারের নেতৃত্বে তার দলের লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে ডুমুরগ্রামে ভোট প্রচার করছিল। একই সময়ে ভোট প্রচার করছিল টনিক সেখের লোকজনও। অভিযোগ, সেই সময় একে অপরের দিকে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এই ঘটনার পর ডুমুরগ্রামে আলী আসগার সেখের বাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করে টনিক সেখ গোষ্ঠীর লোকজন।
দলীয় কার্যালয়ের পাশপাশি ওই এলাকার আরও চারটি বাড়িতে ভাংচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মুরারই থানার পুলিস। এরপর গ্রামে পৌঁছন রামপুরহাট মহকুমা পুলিস আধিকারিক ধীমান মিত্র। পুলিস গ্রামে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। রাতভর অভিযান চালিয়ে ভাংচুর ও সংঘর্ষে জড়িত থাকার সন্দেহে ১০ জনকে আটক করেছে মুরারই থানার পুলিস। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, কুলতুলিতে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েতের প্রার্থী