Siddikullah Chowdhury: চোরের মায়ের বড় গলা, সিদ্দিকুল্লার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দলেরই নেতা
মঙ্গলবার মেমারি ২ নম্বর ব্লকে মন্ত্রী সিদ্দিকুলা চৌধুরী মেমারি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হরিসাধন ঘোষের সমর্থনে র্যালিতে অংশ নেন। ওই র্যালি থেকে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, দলের নেতারা কেউ কাটমানি খাবে না। আমরা চাঁদা তুলবো, বলে তুলবো। কাউকে কাটমানি খেতে দেবো না।
অরূপ লাহা: দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হুঁশিয়ারী কিংবা নিষেধাজ্ঞার পরেও দলের কোন্দলে লাগাম টানা যাচ্ছে না। রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বিরুদ্ধে বুধবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল। তিনি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে বলেন, চোরের মায়ের বড় গলা। সিপিএম ও বিজেপির লোকদের নিয়ে গ্রাম দখলের রাজনীতি করতে নেমেছেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। যারা দু'র্দিনে মার খেয়ে পার্টি করেছিল তাদেরকে তিনি সরিয়ে দিতে চাইছেন। দলকে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছেন। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই তিনি ময়দানে নেমেছেন। সম্প্রতি শ্রীধরপুর সোসাইটিতে নির্বাচন হল। সেখানে আমরা ৪৬-০ করে দিয়েছি। সিপিএম-বিজেপি জোট বেঁধে ওখানে লড়াই করেছিল। সিপিএম, বিজেপির হয়ে যারা ভোটে দাঁড়িয়েছিল তারা ওদের ছায়াসঙ্গী হয়েছেন। ওঁকে অনুরোধ উনি যেন নোংরা খেলা না খেলেন। মঙ্গলকোটের পর মেমারি ও মন্তেশ্বরেও একই কাজ করতে চাইছেন।
আরও পড়ুন-কেন মেগা ফাইনালে ভারতকেই চাইছেন পাকিস্তানের মেন্টর?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার মেমারি ২ নম্বর ব্লকে মন্ত্রী সিদ্দিকুলা চৌধুরী মেমারি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হরিসাধন ঘোষের সমর্থনে র্যালিতে অংশ নেন। ওই র্যালি থেকে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ৭২টি প্রকল্প চালু করেছেন মানুষের জন্য। বিশেষভাবে অনুরোধ জানাবো এসসি, এসটি মা-বোন, ভাইরা কী পাননি আমাদের জানান। কী করতে হবে আমাদের বলুন। দলের নেতারা কেউ কাটমানি খাবে না। আমরা চাঁদা তুলবো, বলে তুলবো। আমরা চাল, আলু দিয়ে খিচুড়ি ভাত খাবো। আমি কাউকে কাটমানি খেতে দেবো না। আমি কাউকে চার পয়সা চাইনি। আপনারাও দেন নি।
এনিয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন,দলের কথা, প্রশাসনের কথা বাইরে বলা উচিত নয়। এটা দল বিরোধী কাজ। দল এসব বরদাস্ত করবে না। মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঠাকুর ঘরে কে,আমি তো কলা খায় নি। কাটমানি নিয়ে আমি তো কারো নাম করে কিছু বলেনি। তাহলে ওর এত গায়ে লাগছে কেন। আমার কাছে তথ্য আছে তা যদি আমি প্রকাশ করি তাহলে উনি আর সাতগাছিয়া বাজারে মুখ দেখাতে পারবেন না। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও ওর বিরুদ্ধে অনেক তথ্য আছে। আমার কাছে যা খবর দল ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আর আমি সিপিএমের ত্রাস ছিলাম। সুতরাং আমি বিজেপি বা সিপিএমের সঙ্গে সম্পর্ক রাখি না।