নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলওয়ামা নাশকতার পাল্টা প্রত্যাঘাত দিয়েছে ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জইশ ঘাঁটি একেবারে গুঁড়িয়ে দেয় বায়ুসেনা। সকালে এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বায়ুসেনাকে শুভেচ্ছা জানান। তখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে বায়ুসেনার অভিযানের কথা সরকারের তরফে জানানো হয়নি। এরপর অখিলেশ, মায়াবতী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বায়ুসেনার সাহসিকতার প্রশংসা করেন। লোকসভা সাংসদ তথা তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেই দিলেন, একেই বলে রিয়্যাল জোশ!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- রক্ষে নেই পাকিস্তানের, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক শেষ হতেই সেনা পেল জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র


ভারতীয় বায়ুসেনার পদক্ষেপকে প্রশংসা জানিয়ে টুইট করেন অভিষেক। তবে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে দেশের মানুষ এবং প্রতিষ্ঠানের ‘স্বাধীনতা’ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। প্রতিষ্ঠানের ‘স্বাধীনতার’ প্রশ্ন তুলে মোদী সরকারকে কার্যত কটাক্ষই করেন মমতা। বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী বলেন, পুলওয়ামা হামলার পর সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যদি এই সিদ্ধান্ত মোদী সরকার আরও আগে নিত, তাহলে পাঠানকোট, উরি, পুলওয়ামার মতো ঘটনা এড়াতে পারতাম আমরা। ভারতীয় বায়ুসেনার এমন সাহসিক পদক্ষেপকে স্যালুট জানাই। বিজেপি মুক্ত সরকার হলে আমাদের সেনার আরও ভাল হবে।



আরও পড়ুন- দেশের দায়িত্ব সুরক্ষিত হাতেই রয়েছে, জানিয়ে দিলেন আত্মবিশ্বাসী মোদী


মঙ্গলবার ভোর রাতে ভারতীয় বায়ুসেনার হিন্ডন এয়ারবেস থেকে আকাশে ওড়ে ১২টি মিরাজ ২০০০ জঙ্গিবিমান। ভোর সওয়া তিনটে নাগাদ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৩টি জায়গায় প্রায় ১০০০ কেজি বোমা ফেলে তারা। ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয় বালাকোট, মুজফ্ফরাবাদ ও চকৌটিতে জঙ্গিশিবিরগুলি। ২০ মিনিটের মধ্যে অপারেশন শেষ করে ভারতে ফেরে বিমানগুলি। এই হামলায় জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি সহ বহু জঙ্গিশিবির গুঁড়িয়ে দিয়েছে বায়ুসেনা।