লাঙল হাতে Nadda-কে দিল্লির কৃষক আন্দোলন স্মরণ করাল TMC
`পশ্চিমবঙ্গে এসে কৃষকদের কথা বলছেন, উন্নয়নের কথা বলছেন!`
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'দিল্লিতে কৃষকরা আন্দোলন করছেন, অনশন করছেন। সাতজন মারা গেলেন। কৃষকদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করার বা আলোচনায় বসার সময় নেই। পশ্চিমবঙ্গে এসে কৃষকদের কথা বলছেন, উন্নয়নের কথা বলছেন!' 'হলধর' নাড্ডাকে (JP Nadda) এভাবেই কটাক্ষ করলেন বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ (Swapan Debnath)। তাঁর দাবি, কেন্দ্রের কাছে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি প্রকল্পের তালিকা চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু সেই তালিকা দেওয়া হয়নি।
বাংলার শস্যভাণ্ডারে 'হলধর' জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। কৃষকদের পাশে থাকা বার্তা দেওয়ার লক্ষ্যে এবার বাংলায় এসে গোটা একটা দিন কাটালেন পূর্ব বর্ধমান (East Burdwan) জেলায়। এদিন সকালে কাটোয়া (Katwa) পৌঁছে প্রথমে রাধাগোবিন্দর মন্দিরে পুজো দেন তিনি। কৃষক সুরক্ষা অভিযান কর্মসূচির সূচনা করে তৃণমূলকে কার্যত তুলোধোনা করে নাড্ডা (JP Nadda)। জনসভায় বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার রাজ্যের লাখ লাখ কৃষককে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি(PM-KISAN) প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করেছেন। মোদী সরকারের আমলে দেশে কৃষি বাজেট ৬ গুণ হয়েছে। স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ লাগু করেছে সরকার।' উল্লেখ্য, দীর্ঘ টালবাহানার পর কিষাণ নিধি প্রকল্পে সায় দিয়েছে রাজ্য। সেই প্রসঙ্গ তুলে নাড্ডা আরও বলেন, 'এখন মমতা দিদি পিএম কিষাণ প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন ওই প্রকল্প লাগু করার জন্য। তার আর প্রয়োজন নেই দিদি। রাজ্যের ২৩ লাখ কৃষক ওই প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন। তখন তা নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। এবার রাজ্যে বিজেপি সরকার এল তা হবে।' সাংবাদিক করে তারই পাল্টা জবাব দিলেন বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ (Swapan Debnath)।
আরও পড়ুন: 'বাঙালিয়ানায় বাঁচি, টোপর পরে বিয়ে করেছি', 'বহিরাগত' ঘোচানোর চেষ্টায় Nadda
কেন্দ্রীয় সরকারের আরও একটি প্রকল্প 'আয়ুষ্মান ভারত'-র কথা তুলেও এদিন তৃণমূল আক্রমণ করেন নাড্ডা। তাঁর আশ্বাস, 'বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলাতেও চালু হবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। রাজ্যবাসী এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।' পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ' ২০১৬ সালে বাংলায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বর্ধমান জেলায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়েছেন ২ লক্ষ ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। ৭৬ হাজারেরও বেশি পরিবার উপকৃত।' মন্ত্রীর কটাক্ষ, 'আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ৪০ শতাংশ টাকা রাজ্যকে দিতে হয়। যদি এতই দরদ, তাহলে পুরো টাকাই কেন্দ্র দিয়ে দিক।