মিহির গোস্বামীকে দলে রাখতে মরিয়া তৃণমূল! দলনেত্রীর বার্তা নিয়ে যাবেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, অনগ্রসর কল্যাণমন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণা বর্মন ও জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়কে কলকাতায় ডেকে মিহির গোস্বামীকে দলে ধরে রাখার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি।
নিজস্ব প্রতিবেদন- বেশ কিছুদিন আড়ালে ছিলেন তিনি। তার পর আচমকা সামনে এসেই বোমা ফাটতে শুরু করেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক তৃণমূলের মিহির গোস্বামী। দলের নিচু ও উপরের তলার নেতা-মন্ত্রীরা দুর্নীতিগ্রস্থ, উত্তরবঙ্গের প্রতি দলীয় নেতাদের বঞ্চনা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন তিনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর গেরুয়া শিবিরে যোগদানের জল্পনা উস্কে গিয়েছিল। ৩ অক্টোবর দলের সব দায়িত্ব-কর্তব্য থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন মিহির গোস্বামী। এর পর বিজেপির সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক তাঁর বাড়িতে আসায় জল্পনা আরও বেড়েছিল।
আরও পড়ুন- বরফ গলল না শুভেন্দু-সৌগতর বৈঠকে, ফের আলোচনার সম্ভাবনা
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, অনগ্রসর কল্যাণমন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণা বর্মন ও জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়কে কলকাতায় ডেকে মিহির গোস্বামীকে দলে ধরে রাখার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। সেই আলোচনায় অভিষেক ব্যানার্জী ও প্রশান্ত কিশোরও ছিলেন। আজ নেত্রীর বার্তা নিয়ে কিছুক্ষণ পরেই বিধায়ক মিহির গোস্বামীর বাড়িতে যাবেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তবে তার আগেই মিহির গোস্বামী তাঁর ফেসবুক পেজে পোস্ট করে তীব্র সমালোচনা করেছেন দলের রাজ্য নেতৃত্বের। যা নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে। তিনি বলেছেন, আজ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তৃণমূলের উপরের তলার নেতা-মন্ত্রীরা সরব হয়েছে। কিন্তু তারাই এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বীজ বুনে দিয়েছেন। আজ আর জেলার নেতাদের ডেকে ধমক-ধামক দিলেই সব ঠিক হবে না।