Vishnumurti in Burdwan: নদী থেকে উদ্ধার বিরল বিষ্ণুমূর্তি! জানা গেল ইতিহাসের কোন অজানা রহস্য?
Vishnumurti of Pala-Sena Era: অজয় নদের পার থেকে ফের উদ্ধার হল বিষ্ণুমূর্তি। এবার কেতুগ্রাম থানা এলাকার নারেঙ্গা গ্রামে নদীর পারে মূর্তি পাওয়া গেল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অজয় নদের পার থেকে ফের উদ্ধার হল বিষ্ণুমূর্তি। এবার কেতুগ্রাম থানা এলাকার নারেঙ্গা গ্রামে নদীর পারে মূর্তি পাওয়া গেল। গতবছর মঙ্গলকোটের খেড়ুয়া গ্রাম থেকে বিষ্ণুর শ্রীধর মূর্তি উদ্ধার হয়েছিল। দু ফুট উচ্চতা এবং দশ ইঞ্চি চওড়া এই প্রস্তরমূর্তিটি নদীর পাড় থেকে উদ্ধার করেন স্থানীয় যুবকেরা।
আরও পড়ুন: ৩ ফুট লম্বা ৩ কেজি ওজনের হাতির দাঁত! কত লক্ষ টাকায় চোরাচালানের কথা ছিল জানেন?
মূর্তিটি উদ্ধার করে গ্রামবাসীরা মন্দিরে রেখে পুজো শুরু করেন। এদিকে কেতুগ্রাম থানার পুলিস বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধারের ঘটনা জানতে পেরে নারেঙ্গা গ্রামে গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেন।
আরও পড়ুন: Birbhum: ট্রেন থেকে নামতেই যুবতীকে একের পর এক ছুরির কোপ যুবকের, তোলপাড় নলহাটি
অজয় নদের দুই পাড় লাগোয়া গ্রাম থেকে বহুমূল্যবান দেব-দেবীর প্রাচীন প্রস্তর মূর্তি প্রায়ই উদ্ধার হয়। গুপ্ত ও পাল যুগে অজয় নদের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মঙ্গলকোট পর্যন্ত অঞ্চলে বিষ্ণুর উপাসকদের বসবাস ছিল। এই জনপদগুলিতে প্রচুর মন্দির ও মূর্তি ছিল। অনুমান, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হয়তো কোনও এক সময় মূর্তি-সহ মন্দিরগুলি অজয় নদে বিলীন হয়েছিল।
প্রত্নমূর্তি বিশেষজ্ঞেরা বলে থাকেন, বিষ্ণুর একাধিক ধরনের মূর্তি দেখা যায়। কোনও মূর্তিতে সরস্বতী-লক্ষ্মী থাকেন, কোনও মূর্তিতে শুধু লক্ষ্মী থাকেন। নারেঙ্গা গ্রামে প্রাপ্ত মূর্তিটি চতুর্ভুজ। মূর্তিটি সম্ভবত একাদশ-দ্বাদশ শতকে নির্মিত। মূর্তিটি খুবই মূল্যবান বলে অনুমান।স্থানীয় গবেষকদের মতে, উদ্ধার হওয়া মূর্তি দেখে তাঁদের অনুমান, বিষ্ণুমূর্তিটি পাল যুগের শিল্পকর্ম। এই ধরনের বিষ্ণুমূর্তি আগেও এই এলাকা থেকে পাওয়া গিয়েছে।