উলটো রথে ধুমধাম রাজ্যজুড়ে
এদিন মহা সমারোহেই উলটো রথের বর্ণময় শোভাযাত্রা বেরোয় পুরনো বর্ধমানের রাজপথে। ছিল চর্তুদোলা; ঢাকঢোল বাদ্য ও অন্যান্য নানা আকর্ষণ। এবারে শোভাযাত্রায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সাত দিন মাসির বাড়ি কাটানোর পর আজ বাড়ি ফেরার দিন। আজ উলটো রথ। রথের মতোই উলটো রথেও ধুমধাম পূর্বভারতের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। আড়ম্বর নগরে, প্রান্তরে। মেলা ভাঙার কষ্ট ভোলানো জিলিপির স্বাদ চেখে গাছগাছালি লাগানোর দিন।
যেমন আড়াইশো বছরের পুরনো উলটো রথে মাতল পুরনো বর্ধমানের আলমগঞ্জ। রবিবার আলমগঞ্জে দত্তবাড়ির রথ মামাবাড়ির থেকে ফিরে গেল মন্দিরে। এক সময় নদী ও সড়ক পথে বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল ছিল বর্ধমান। চার শতক আগে থেকেই বর্ধমানে বণিক সম্প্রদায় প্রভাবশালী হয়। দও বাড়ি তার মধ্যেই অন্যতম। এদিন মহা সমারোহেই উলটো রথের বর্ণময় শোভাযাত্রা বেরোয় পুরনো বর্ধমানের রাজপথে। ছিল চর্তুদোলা; ঢাকঢোল বাদ্য ও অন্যান্য নানা আকর্ষণ। এবারে শোভাযাত্রায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
উলটো রথের জমজমাট ছবি দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে। সেখানে উলটো রথে হল দুর্গাপুজোর খুঁটিপুজো। বিষ্ণুপুর থানার আমতলা অগ্রগামী এথোলেটিক ক্লাবের আয়োজনে হাজির ছিলেন স্থানীয়রা।
পুলিসকর্মীর দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাশ্মীরে ৩ জঙ্গিকে খতম করল সেনা
তবে এদিন গোটা রাজ্যে উলটো রথের সব থেকে বড় আয়োজন ছিল হুগলির মাহেশে। সেখানে ৯০০ মিটার দূরে মাসির বাড়ি থেকে রথে করে বাড়ি ফেরেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। উলটো রথের রশিতে টান দিতে মাহেশে হাজির ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সেখানে হাজির ছিলেন জেলার জনপ্রতিনিধিরাও।