নিজস্ব প্রতিবেদন : শনিবার সকাল থেকেই বিশ্বভারতী জুড়ে উত্তেজনা। একদিকে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির পতাকা, পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। অন্যদিকে, রাস্তা ফেরানোর দাবিতে প্রতীকী অনশনে বসলেন স্বয়ং উপাচার্য। আবার উপাচার্যের বিরুদ্ধে পাল্টা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন পড়ুয়ারাও। সবমিলিয়ে আরও একবার ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে বিশ্বভারতী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশ্বভারতীকে রাস্তা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে এদিন সকালে ছাতিমতলায় প্রতীকী অনশন অবস্থানে বসেন উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty)। পূর্ত দফতরকে রাস্তা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তিনি। উপাচার্যের সঙ্গেই এই অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ও কর্মী, পড়ুয়াদের একাংশ। অন্যদিকে ঠিক সেইসময়ই গেটের বাইরে উপাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে পাল্টা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিশ্বভারতীর জনা কয়েক পড়ুয়া। 


আরও পড়ুন, নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ, অভিযোগকারী অধ্য়াপককে সাসপেন্ড করল বিশ্বভারতী


বিক্ষোভ-পাল্টা বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati)। ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে নিরাপত্তা কর্মীদের বিরুদ্ধে। বাদানুবাদ হয়। ধাক্কাধাক্কিও হয় বলে অভিযোগ। যার জেরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। প্রসঙ্গত, বোলপুর প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বিশ্বভারতীকে দেওয়া রাস্তা ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কাচমন্দির থেকে কালিসায়র মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। 


উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে শান্তিনিকেতনে যাতায়াতের রাস্তাটি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবহারের জন্য দিয়েছিল রাজ্যের পূর্ত দফতর। তারপরই শিক্ষাভবনের মোড় থেকে কাচমন্দির পর্যন্ত রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল বিশ্বভারতী। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগে এই রাস্তায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ ছিল। কিন্তু বিশ্বভারতী পুরোপুরি মালবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া সমস্যায় পড়েন স্থানীয় মানুষ। 


আরও পড়ুন, নজিরবিহীন! বিশ্বভারতী জুড়ে এবার পড়ল BJP-র পতাকা-পোস্টার


বোলপুর প্রশাসনিক বৈঠকে সেই অভিযোগপত্রটিই মমতাকে দেন জেলাশাসক। সেটি পড়ে শোনান মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরই তিনি জানান, ফের ওই রাস্তা ফেরত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। ওই রাস্তা সরকার ফিরিয়ে নিয়ে রাজ্য পূর্ত দফতরের হাতে তুলে দেবে। মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পরই নয়া মাত্রা পায় রাজ্য সরকার-বিশ্বভারতী সংঘাত। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যদিও পুর দফতর ফের ওই রাস্তা অধিগ্রহণ করে বোর্ড বসিয়ে দেয়।