সংবিধান ‘বেদ’ নাকি, তৈরি হয়েছে সংখ্যালঘুর ভোটে, বিস্ফোরক বিশ্বভারতীর উপাচার্য
সম্প্রতি জেএনইউ, জেইউ-র মতো চর্চায় রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ও। ক্যাম্পাসে ঢুকে সেখানেও ছাত্র পেটানোর অভিযোগ ওঠে। গত ১৫ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের বেধড়ক মারা হয় বলে অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। ভারতীয় সংবিধান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। রবিবার প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে পতাকা উত্তোলনের পর বিশ্বভারতীর উপাচার্য দাবি করেন, ভারতের সংবিধান ২৯৩ জনের সংখ্যালঘু ভোটে তৈরি হয়েছিল। আজ দেশের কাছে ‘বেদ’ হয়ে গেছে সংবিধান। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি উপাচার্য, বলেন, প্রয়োজনে সংবিধান বদলানো উচিত। তাঁর এই মন্তব্যে ইস্তফার দাবি তুললেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
সম্প্রতি জেএনইউ, জেইউ-র মতো চর্চায় রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ও। ক্যাম্পাসে ঢুকে সেখানেও ছাত্র পেটানোর অভিযোগ ওঠে। গত ১৫ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের বেধড়ক মারা হয় বলে অভিযোগ। স্বপ্ননীল মুখোপাধ্যায় এবং ফাল্গুনী পান নামে দুই পড়ুয়া গুরুতর আহত হন। কাঠগড়ায় এবিভিপি থাকলেও তাদের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাতভর ব্যাপক বোমাবাজি, তৃনমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত বীরভূম
উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ৮ জানুয়ারি সিএএ সমর্থনে বিশ্বভারতীতে বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের বক্তৃতা রাখা নিয়ে। সে সময় স্বপন দাশগুপ্ত এবং উপাচার্য ছাত্রবিক্ষোভের মধ্যে প্রায় ৭ ঘণ্টা আটকে থাকেন। যা নিয়ে জোর রাজনৈতিক চাপান-উতর শুরু হয়। এরই মধ্যে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়, যেখানে খোদ উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তীকে উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে শোনা যায়। যা নিয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ঐক্যমঞ্চ। যদিও জি় ২৪ ঘণ্টার তরফে ওই ভিডিয়ো যাচাই করে দেখেনি। ওই ভিডিয়ো অস্বীকার করে তাঁর কণ্ঠস্বর বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন উপাচার্য।