WB Assembly Election 2021: জঙ্গি-নকশালদের রেয়াত করে না জওয়ানরা, আপনার গুন্ডাদের ভয় পাবে! শিলিগুড়িতে মমতাকে নিশানা মোদীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোচবিহারে যা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মৃত্যুতে আমি শোকাহত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোচবিহারের মাথাভাঙায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালনায় ৪ জনের মৃত্যুতে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। শিলিগুড়িতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় তাঁর বক্তব্যর অনেকটাই জুড়ে থাকল ওই গুলি চালনার ঘটনা। চার জনের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করলেও স্পষ্টভাবে তিনি থাকলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষেই।
আরও পড়ুন-দিদি ও TMC-র গুন্ডাদের খামখেয়ালিপনা চলতে দেব না, কোচবিহারের ঘটনায় হুঁশিয়ারি Modi-র
কয়েক দিন আগেই কোচবিহারের এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়(Mamata Banerjee) কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, গোলমাল করলেই মেয়েরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলুন। একদল ওদের ঘিরে রাখুন, আর একদল ভোট দিয়ে আসুন। এনিয়েই মমতাকে নিশানা করলেন মোদী(Narendra Modi)।
শিলিগুড়ির জনসভায় মমতা বলেন, দিদি এখন ট্রেনিং দিচ্ছেন। দশ বছর একটি রাজ্য শাসন করার পর দিদি এখন সাধারণ মানুষকে শেখাচ্ছেন কীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করতে হবে। কেমন করে বুথে হামলা করতে হবে। দেশের বাহাদুর জওয়ান জঙ্গিদের, নকশালদের ভয় পায় না। তারা আপনার গুন্ডাদের ভয় পাবে? দিদির গুন্ডারা ছাপ্পা ভোট দিতে পারছে না। এর জন্য়ই দিদির এত রাগ। গত ১০ বছরের হিসেব তিনি দেননি। কিন্তু যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই মোদীকে গালাগাল করছেন।
আরও পড়ুন- আগামিকাল শীতলকুচি যাচ্ছেন Mamata, শাহের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোচবিহারে যা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মৃত্যুতে আমি শোকাহত। কিন্তু বিজেপির পক্ষে জনসমর্থন দেখে দিদি ও তার গুন্ডারা ঘাবড়ে গিয়েছে। ক্ষমতা চলে যাচ্ছে দেখে দিদি এই অবস্থায় পৌঁছেছেন। দিদি, তৃণমূল ও তাদের গুন্ডাদের সাফ জানিয়ে দিচ্ছি এই গুন্ডাগিরি আর চলতে দেওয়া হবে না। নির্বাচন কমিশানের কাছে আবেদন, কোচবিহারে যা হয়েছে তার পেছনে থাকা দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া হোক। দিদি, এই হিংসা, মানুষকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। আপনার ১০ বছরের কুকর্ম আপনাকে আর বাঁচাতে পারবে না।
উল্লেখ্য, অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৪ যুবকের। তৃণমূলের দাবি ওই চারজনই তাঁদের সমর্থক। অন্যদিকে বাহিনীর দাবি, হঠাৎই ৩০০-৪০০ লোক ঘিরে ধরে। দু-পক্ষের ঝামেলা থামাতে এবং নিজেদের আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১ জনের। বাকি ৩ জনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওযা হয়। সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয় বলে খবর। সূত্রের খবর, মৃত ওই ৪ ব্যক্তিদের নাম মনিরুজ জামান, হামিদুল মিয়া, সামিনুল হক, নূর আলম মিঞা। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।