নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার রাজ্যের ৩ জেলায় ৩১ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির ওইসব আসনের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ৭০৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুধুমাত্র বুথের নিরাপত্তায় থাকছে ৬১৮ কোম্পানি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথম দুই দফার মতো আগামিকাল তৃতীয় দফার ভোটেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে কমিশন। দ্বিতীয় দফায় নন্দীগ্রামে(Nandigram) ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৬ কেন্দ্রে জারি করা হচ্ছে ১৪৪ ধারা। আজ সন্ধে সাড়ে ছটা থেকে ১৪৪ ধারা লাগু হয়েছে। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে থাকবে ওই নিষেধাজ্ঞা। হাওড়া ও হুগলির মোট ১৫টি আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে। তবে সেখানে বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা।


আরও পড়ুন-আচমকা কেঁপে উঠল গোটা উত্তরবঙ্গ, আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে এলেন মানুষজন


প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী(Central Force) মোতায়েন করেছিল কমিশন। এবারও সেই নির্দেশিকাই থাকছে। রাজ্যে কমিশনের তরফে পুলিস পর্যবেক্ষক হিসেবে এসেছেন বিবেক দুবে। আজ তিনি জানিয়েছেন গত দু দফায় কোনও ভোটদাতার কাছ থেকে এরকম কোনও অভিযাগ আসেনি যে তিনি ভোট দিতে পারেননি, কোথাও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ আসেনি। তাই তৃতীয় দফাতেও সতর্ক থাকতে হবে।


তৃতীয় দফায় পর্যবেক্ষকদের জন্য ১০ দফা নির্দেশ বিবেক দুবের


১. কোনও পর্যবেক্ষক কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একান্তে দেখা করতে পারবেন না। 


২. কারও সঙ্গে লাঞ্চ বা ডিনারে যেতে পারবেন না।
 
৩. তাঁর রুমে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি বা অন্য কোন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। দেখা করতে হলে হোটেলের লাউঞ্জে বসে কথা বলতে হবে।


৪. কারও কাছ থেকে কোন উপহার নিতে পারবেন না।


৫. রাজনৈতিক ব্যক্তির সাথে আলাদা করে দেখা করা যাবে না।


৬. Privately  কোনও কাজ করা  যাবে না। সবকিছু করতে হবে প্রকাশ্যে।


আরও পড়ুন-ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে Covid সংক্রমণ, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে Modi


৭.  ভোটের দিন বা যে কোনও দিন কারও কাছ থেকে খাবার, বিশেষ করে পানীয় নিয়ে খাওয়া যাবে না।


৮. ভোটের দিন কোনো পর্যবেক্ষক রুমে বসে থাকবে না। তাকে এলাকায় এলাকায় ঘুরতে হবে, সাহস যোগাতে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। 
একইসঙ্গে পরিস্থিতি জানতে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে হবে।


৯. কারও বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এলে পত্রপাঠ তাকে ফেরত পাঠানো হবে। ইতিমধ্যেই এক মহিলা অফিসারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের জন্য একজন পর্যবেক্ষককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।


১০. তিনি বলেন, ২০০৫ সাল থেকে শুনছি বাংলায় অনেকে নিজের ভোট দিতে পারেন না। এই রেওয়াজ বন্ধ করতে হবে। মানুষ যাতে নিজের ভোট দিতে পারেন তার জন্য পুলিসের পাশাপাশি পর্যবেক্ষকদের ও সক্রিয় হতে হবে।


বাহিনীকে বিবেক দুবের নির্দেশ


গত দু'দফায় কোনও ভোটদাতার কাছ থেকে এরকম কোনও অভিযাগ আসেনি যে তিনি ভোট দিতে পারেননি, কোথাও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ আসেনি। তাই তৃতীয় দফাতেও সতর্ক থাকতে হবে।