নিজস্ব প্রতিবেদন:বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ। মারাত্মক এই অভিযোগ আনলেন বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুর। মঙ্গলবার গাইঘাটা থানায় এনিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন মধুপর্ণা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-দিনহাটায় BJP-র প্রচারে হামলা, চুরমার সিতাইয়ের প্রার্থীর গাড়ি 


মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ের দাবি, নিজের বাড়িতেই তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সাংবাদিকদের সামনে শান্তনু ঠাকুর ও প্রাক্তন মন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। খুনের হুমকি নিয়ে মধুপর্ণা বলেন, মেলার মাঠে গিয়েছিলাম। ওই মেলা মা-ই করান। মেলায় নাগরদোল বসতে দেওয়া হচ্ছে না। ওখানে শান্তনু ঠাকুর আমাকে হুমিক দেন, ঘরে চলে যা। তা না হলে লোক ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলবে। সূর্যের মুখ দেখতে পারবি না। মার্ডার হয়ে যাবি।  নিজের ঘরেই আমি নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি। যে কোনও সময় যা কিছু করতে পারে। ওদের কাছে গুন্ডা তো রয়েইছে। ঠাকুর বাড়িতে থাকতে দেবে না। ২ তারিখের পর দেখে নেওয়া হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর।  মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরও হুমকি দিয়েছেন। 


আরও পড়ুন-জওয়ানদের নিয়ে পোস্টের জেরে গ্রেফতার অসমের লেখক


এ ব্যাপারে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন, যে গাছ মাটি থেকে উপড়ে গেছে সেই গাছে আর ফল ফলবে না। সেই গাছ লাগিয়ে আর কোন লাভ নেই। এইসব কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমার একটাই ধারনা মানুষের কাছে সিমপ্যাথি পাওয়ার জন্য এসব বলা হয়েছে। ওইসব অভিযোগ শুধু মিথ্যেই নয়, এটা সিমপ্যাথি আদায়ের একটা পরিকল্পনা। আমি ভোটে জেতার আগে পর্যন্ত উনি আমার সঙ্গে অনেক কিছুই করেছেন। আমি ঠাকুরবাড়ির একজন প্রতিনিধি। আমার উপরে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে জেল পর্যন্ত খাটিয়েছেন। সাংসদ হওয়ার পরে আমি উনার বিরুদ্ধে কোনও মিথ্যে অভিযোগ তুলেছি কিনা তা ঠাকুরনগরের মানুষ সাক্ষী। এসব অপপ্রচার শুধু নয়। রাজনৈতিক লাভ আদায়েরও চেষ্টা করছেন। বহুবার বিজেপিতে ঢোকারও চেষ্টা করেছেন উনি। 


উল্লেখ্য, মমতাবালা ঠাকুর দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, শান্তনু ঠাকুরের পরিবার তাঁর উপরে মানসিক অত্য়াচার করেন। মমতাবালা বলেন, বারবার আমাদের খুনের হুমিক দেওয়া হচ্ছে। চরিত্রের উপরেও আঘাত হানা হয়েছে। এখন খুনের হুমকি দিচ্ছে। বলছে সূর্যের মুখ দেখতে দেবে না। এ কোন দেশে বাস করছি!