নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে প্রথম দফার ভোটে ৩০টি আসনের মধ্যে ২৬টিতেই বিজেপি (BJP) জয়ী হবে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দ্বিতীয় দফার ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে বাংলার ভাগ্য পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন তিনি। দিল্লি থেকে শাহের এই দাবির পরই চণ্ডীপুরের (Chandipur) নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে পাল্টা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। দাবি করলেন, তৃণমূলের (TMC) হয়ে জবাব মানুষ-ই দেবে। তাঁর আলাদা করে কিছু বলার প্রয়োজন পড়বে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নন্দীগ্রামের পাশেই চণ্ডীপুর (Chandipur)। এই চণ্ডীপুর আসনে অভিনেতা সোহমকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল (TMC)। সোহমের সমর্থনেই এদিন চণ্ডীপুরে জনসভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই জনসভাতেই শাহের (Amit Shah) দাবির পাল্টা জবাব দিলেন নেত্রী। মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, "কালকে ৩০টা আসনে ভোট হয়েছে। আমাকে এখন যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে কটা সিট পাবেন? তাহলে আমি কি ভোটের মেশিনের মধ্যে ঢুকতে যাব? আমি কি করে জানব? মানুষ ভোট দিয়েছে। মানুষ বুঝবে। মানুষ-ই বলবে। হ্যাঁ, এটা বলতে পারি যে ৮০-৮৫ শতাংশ যখন ভোট হয়েছে, তখন শ্রমিক-কৃষক থেকে সবাই আমাদের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।" এরপরই সরাসরি অমিত শাহকে কটাক্ষ করে তাঁর তীর্যক মন্তব্য, "বিজেপির (BJP) এক নেতা আজকে বলছেন, ৩০টার মধ্যে ২৬টা আমরা পাব! ৩০-এ ৩০টাই বলুক না? ৪টে বাকি থাকল কেন? সিপিআইএম ও কংগ্রেসের জন্য?" অমিত শাহের মত আসনসংখ্যা নির্দিষ্ট করে না বললেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্পষ্ট বক্তব্য, তাঁরাই জিতছেন।


প্রসঙ্গত, শুধু আসনসংখ্যা নিয়ে পাল্টা জবাব দেওয়া-ই নয়। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও তোপ দাগেন। বলেন, "উত্তরপ্রদেশ থেকে বন্দুকধারী গুন্ডা এনে ভোট করানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয়বাহিনী ওদের কথাতেই চলছে। আমরা খাওয়া-থাকার খরচ দিচ্ছি। এদিকে আমাদের ভোটারদেরই মারধর করছে।" দ্বিতীয় দফায় এমনটা চলবে না বলেও 'সাবধানবাণী' শোনান তিনি। বলেন, "আমি একদিন নন্দীগ্রামেই (Nandigram) থাকছি। ভোট করিয়ে তারপর যাব। নিজে থেকে সবকিছু লক্ষ্য রাখব।" তৃণমূল নেত্রীর সাফ কথা, আজ যাঁরা বড় বড় কথা বলছেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় সেদিন তাঁরা বাড়িতে ঘুমিয়েছিলেন। আর তিনি সারারাত চণ্ডীপুরে ব্রিজের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই চণ্ডীপুর হোক বা নন্দীগ্রাম, মানুষ যেন ভোট দেওয়ার সময় এটা মনে রাখে যে, তৃণমূলকে (TMC) ভোট দেওয়া মানে, তাঁকে ভোট দেওয়া, সে প্রার্থী যিনি-ই হোন না কেন।


আরও পড়ুন, WB Assembly Election: বাংলার পরিবর্তন ভাগ্য নন্দীগ্রামবাসীর হাতে: Amit Shah


মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে হেনস্থার অভিযোগ, Nandigram থানায় তুমুল বিক্ষোভ CPM-এর