নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় তৃণমূলে (TMC) ফের ভাঙন। প্রার্থীকে পছন্দ নয়। তাই দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে সাংবাদিক সম্মেলন করে দল ছাড়লেন ২ নেতা। গাইঘাটা (Gaighata) বিধানসভা ও বনগাঁ দক্ষিণ (Bangaon Dakshin) বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে এদিন তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করলেন গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ও গাইঘাটা বিধানসভার প্রচারক ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ। একইসঙ্গে তৃণমূল থেকে আজ ইস্তফা দিলেন জেলা পরিষদ সদস্য সুভাষ রায়ও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গাইঘাটা (Gaighata) বিধানসভা কেন্দ্রে নরোত্তম বিশ্বাস ও বনগাঁ দক্ষিণ (Bangaon Dakshin) বিধানসভা কেন্দ্রে আলোরানি সরকারকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। রবিবার সকালে ধ্যানেশ নারায়ণ গুহর বাড়িতে আসেন গাইঘাটার তৃণমূল (TMC) প্রার্থী নরোত্তম বিশ্বাস। ধ্যানেশ নারায়ণ গুহকে প্রণাম করতে এসেছেন বলে জানান তিনি। কিন্তু নরোত্তম বিশ্বাসকে প্রত্যাখ্যান করেন ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ। এরপরই প্রার্থী প্রার্থী নরোত্তম বিশ্বাসের সামনেই সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ধ্যনেশ নারায়ণ গুহ। প্রার্থীকে 'দুষ্কৃতী' ও 'মুম্বই থেকে আসা সোনা পাচারকারী' বলেও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। তারপরই তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ। 


একদিকে ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ যখন নরোত্তম বিশ্বাসের বিরোধিতায় দল ছাড়ছেন, অন্যদিকে তখন বনগাঁ দক্ষিণ (Bangaon Dakshin) বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী আলোরানি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে তৃণমূল (TMC) ছাড়েন গাইঘাটা (Gaighata) ৭ নম্বর জেলা পরিষদের সদস্য সুভাষ রায়ও। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ধ্যানেশ নারায়ণ গুহর সমস্তরকম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রার্থী নরোত্তম বিশ্বাস। তিনি বলেন, "আমি দুষ্কৃতী কিনা সেটা গাইঘাটার মানুষ বিচার করবে। আমি ধ্যানেশ নারায়ণ গুহকে দাদা হিসেবে মানি। তাই তাঁকে প্রণাম করতে এসেছিলাম।" একইসঙ্গে তাঁর দাবি, 'সোনা পাচারের' অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। অন্যদিকে, ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ ও সুভাষ রায়ের দল ছাড়ার প্রসঙ্গে বনগাঁর প্রাক্তন সংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, "এটা যাঁর যাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।" 


আরও পড়ুন, মোদীর ব্রিগেড সভার দিনই গোপীবল্লভপুরে বড় 'ধাক্কা' খেল বিজেপি


'সিন্ডিকেট ও তোলাবাজি' ইস্যুতে মোদীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মমতা