নিজস্ব প্রতিবেদন: নন্দীগ্রামে মমতা হারছেন বলে আজ উত্তরবঙ্গের একাধিক জনসভা দাবি করেছেন অমিত শাহ। পাল্টা দাবি করলেন তৃণমূল নেত্রীও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তুফানগঞ্জের এক সভায় আজ মমতা বলেন, নন্দীগ্রামে খুব ভালো ভাবে জিতব। আমার ভোট হয়ে গিয়েছে। আমি একা জিতলে তো হবে না। আমার প্রার্থীদের জিততে হবে। মনে রাখবেন আমাকে ২০০ সিট পার করতে হবে। দুশোর কমে হবে না। আমরাই আসছি। বিজেপি যা বলছে তা ফাঁকা কথা।


আরও পড়ুন-BJP-তে অন্তর্কলহ, পার্টি অফিসেই মহিলা নেত্রীকে চুলের মুঠি ধরে মার মন্ডল সভাপতির


প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে মমতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী এখানে এসে শুধু মিথ্যে কথা বলেন। উনি বলছেন, দিদি কিছুই করেন না। তাহলে কি সব উনিই করেন? কোচবিহারের বিমানবন্দরটাও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় করে দিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টাও করে দিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজটাও করে দিয়েছে, রুপশ্রী করে দিয়েছে, কন্যাশ্রী করে দিয়েছে। বিজেপি এলে এসব বন্ধ করে দেবে। তাই ২৯৪ আসনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিতে হবে। মোদী বলেছিলেন, কম পয়সায় গ্যাস দেবেন। এখন গ্যাসের দাম কত? উজালা যোজনা এখন হাওয়া। 


কেন্দ্রের সমালোচনা করে তৃণমূল নেত্রী(Mamata Banerjee) বলেন, গতকালই ঘোষণা হয়েছিল  সব ব্যাঙ্কের সুদ কমে যাচ্ছে। কেউ হয়তো বলেছে, আরে ভোট চলছে। এখন এই ফরমান প্রত্যাহার করো। তাই ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর পর দেখবেন ব্য়াঙ্ক বন্ধ হয়ে যাবে। একসময় মোদী হয়তো বলবে, আজ থেকে ব্যাঙ্ক বন্ধ। ১৫ লাখ টাকা পেয়েছেন? 


আরও পড়ুন-'একতরফা ভোটিং হয়েছে, নন্দীগ্রামে হারছেন-ই মমতা', অমিতের 'শাহি' ঘোষণা


তুফানগঞ্জের সভা থেকে অমিত শাহকেও(Amit Shah) নিশানা করেন মমতা। বলেন, দিল্লিতে বসে আছে আমাদের হোম মিনিস্টার। কিছুই করে না। দাঙ্গাবাজি, ধান্দাবাজি, বিরোধীদের ঘরে সিবিআই -ইডি ঢুকিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করে না। কারও বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে ভোটের সময়ে কেন তদন্ত সংস্থাগুলোকে পেছনে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে? সারা বছর কী করো? নির্বাচন কমিশন আমাদের কথা শুনছেনা। কাল নন্দীগ্রামে দেখলাম কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে গিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। এদের সঙ্গে রয়েছে আমাদের কিছু দালাল। আপনাদের এলাকাতেও তাণ্ডব করবে। প্রতিদিন পুলিসের লোক বদল করছে কমিশন। অমিত শাহ নির্বাচন কমিশন চালাচ্ছে। ওকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে সরিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান করে দেওয়া হোক।  আমার বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা নেবে? কী নেবে? অসমে ভোট হচ্ছে। ওখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট দিচ্ছে। সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। এখানেও সেই চেষ্টা হবে। সতর্ক থাকবেন।