নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক জেলায়।  অধিকাংশ জায়গায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এনিয়ে সরব হলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে দিলীপ ঘোষ বলেন, গতকাল ফলাফল ঘোষণার আগেই রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিবেস তৈরি হয়েছে। যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তাদের উত্সাহে ও পার্টি কর্মীদের উদ্যোগে আমাদের পার্টির কার্যালয়, কর্মী, নেতা ও তাদের বাডি় দোকান-সব জায়গায় হামলা শুরু হয়েছে। সেসবের ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে। পুলিস বলছে আমরা কী করব। 


আরও পড়ুন-তুমুল উত্তেজনা ESI হাসপাতালে, Vaccine না পেয়ে রাস্তা অবরোধ মানিকতলায় 


রাজ্য বিজেপি সভাপতি(Dilip Ghosh) বলেন, রাজ্যে হিংসা নতুন কিছু নয়। হার-জিতের পর অল্প উত্তেজনা থাকেই। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টাও হয়নি তার মধ্যেই ৬ জন মারা গিয়েছেন। আর শতাধিক বাড়ি, আমার মনে হয় হাজার খানেক বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রতিটি বিধানসভা থেকে হিংসার খবর আসছে। জিতে অনেকে আনন্দ ধরে রাখতে পারছেন না। উত্তর-দক্ষিণ সব জায়গায় এরকম ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। 


আরও পড়ুন-প্রায় ২১ ঘণ্টা ঘরেই পড়ে রইল কোভিডে মৃত ছেল, দেহ আগলে রইলেন অসহায় বাবা 


রাজ্যে নিহতদের হিসেব দিয়ে দিলীপবাবু বলেন,  এখনও পর্যন্ত ৬ জন মারা গিয়েছেন। জগদ্দলে শোভারানী মণ্ডল মারা গিয়েছেন। তাঁর ছেলে ছিল বিজেপির বুথ কর্মী। তার উপরে অত্যাচার হচ্ছিল। তাকে বাঁচাতে এসে তিনি মার খান। তাতেই মারা যান। রানাঘাটে উত্তম ঘোষ নামে এক বিজেপি সমর্থক মারা গিয়েছেন। বেলেঘাটায় অভিজিত্ সরকারকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। উনি আমাদের পার্টির কর্মী ছিলেন। সোনারপুরে হারান অধিকারী নামে এক বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। শীতলকুচিতে(Shitalkuchi) মানিক মৈত্র নামে ১৯ বছরের এক যুবকের মাথায় গুলি করা হয়েছে। আইএসএফের এক কর্মীকে বোমা মেরে খুন করা হয়েছে।  ফল প্রকাশ ২৪ ঘণ্টাও হয়নি তার মধ্যে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। নির্বাচন পরবর্তি হিংসা এখন আয়ত্বের বাইরে চলে গিয়েছে। আমরা প্রশাসনে আধিকারিকদের সহ্গে কথা বলছি। তারা চুপ করে আছেন। পুলিসের সামনেই হিংসা হচ্ছে। আমাদের হাজার হাজার কর্মী ঘরছাড়া। তাদের বিভিন্ন জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।