West Bengal assembly election results 2021: 'মানুষ ভালোভাবে নেয়নি', ভোটে হেরে 'দলবদলে' বোধোদয় Dilip-র
সাংবাদিক সম্মেলনে তুললেন নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'হতে পারে, মানুষ এটা ভালোভাবে নেয়নি'। ভোটে হেরে দলবদলের প্রশ্নে আত্মসমালোচনার সুর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়। বললেন, 'খুব বড় লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছিলাম। লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। হয়তো সাধারণ মানুষ এটাই চেয়েছে, আমরা বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করি। সরকারকে ঠিক পথে চালিয়ে মানুষের সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করি'।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ত্যাগের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। প্রাক্তন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee), প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal), বৈশালী ডালমিয়াদের (Baishali Dalmiya) দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ চার্টার্ড বিমান পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কিন্তু ঘটনা হল, গতবারের জেতা আসনে টিকিট পেয়েও এবার জিততে পারেননি তাঁরা। হাওড়ার শিবপুর আসনে হেরে গিয়েছেন আর এক দলত্যাগী নেতা রথীন চক্রবর্তীও। এদিন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, 'হতে পারে মানুষ এটা ভালোভাবে নেননি। বিজেপির জেতার সম্ভাবনা ছিল, তাই হয়তো এসেছিলেন। সেকারণে মানুষ বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। বাংলায় রাজনীতি এটাও শিক্ষা হয়ে থাকল।'
বিজেপিতে যোগ দেওয়াই শুধু নয়, এবারে ভোটে নন্দীগ্রামে 'হাফ লাখ' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে প্রার্থীও হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফলাফল কী হল? গণনাকেন্দ্র সূত্রে খবর, নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছেন মমতা। চূড়ান্ত রাউন্ড শেষে ১৯৫৩ ভোটে জিতেছেন শুভেন্দু। বিজেপির এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য, এমনকী দলের প্রার্থী নিজেও টুইট করেছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ঘোষণা করেনি। তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, এখনও গণনা শেষ হয়নি। আর মমতার হুঁশিয়ারি, 'আমি কোর্টে যাব। খবর আছে জেতা অ্যানাউন্স করার পর কারচুপি হয়েছে। সেগুলি খুঁজে বের করব।'
দিলীপ ঘোষের কী প্রতিক্রিয়া? তিনি বলেন, 'আমাদের যিনি প্রতিপক্ষ, মুখ্যমন্ত্রীও অনেক লড়াই করেছেন। একবারে সফল হননি। লম্বা অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও পার্টি কর্মীদের নিয়ে লড়াই করেছেন'। এরপরই যোগ করেন, 'যাঁর নামে নির্বাচন লড়া হল, তিনি হেরে গেলেন, অথচ পার্টি জিতল! এটাও ঐতিহাসিক হয়েছে। গণতন্ত্রের এই বিচিত্র গতি, সেটাও আমাদের দেখতে হল'। তাঁর ব্যাখ্যা, 'সামগ্রিকভাবে মানুষ সংকেত দিয়েছে, তাঁর কাজে খুশি নন। না হলে পঞ্চাশ হাজার ভোটে জেতাতেন। ঐতিহাসিক জিত হত। সরকারে আসার পরেও মানুষ সতর্ক করে দিয়েছেন'।