নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতেই জল থৈ থৈ কলকাতা। বাজ পড়ে ৫ জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। মাত্র আধঘণ্টার মূষলধারে বৃষ্টিতে জল জমে নাজেহাল অবস্থা মহানগরীর। এরসঙ্গে গাছ পড়ে রাস্তা আটকে আরও ভোগান্তি। দুর্যোগের পূর্বাভাস থাকায় আগেই সতর্ক হয়েছে নবান্ন। জরুরি বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে তৈরি থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হালকা বৃষ্টি ছিলই। তবে দুপুরে মুষলধারে বৃষ্টিতে ভেসেছে শহর। দক্ষিণে রাসবিহারী, বালিগঞ্জ, সাদার্ন অ্যাভিনিউ, কসবা, শরত্‍ বোস রোড, মিন্টো পার্ক থেকে বেহালা। আবার উত্তরে ঠনঠনিয়া, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, কাঁকুরগাছি থেকে উল্টোডাঙা। আধঘণ্টার বৃষ্টিতে কোথাও হাঁটুজল, কোথাও পায়ের পাতা ডুবেছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যানজট। তবে দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেমেছে কলকাতা পুরসভা। সবকটি পাম্পিং স্টেশন এক সঙ্গে কাজ শুরু করায় বৃষ্টি কমতেই জলও নামতে শুরু করেছে রাজপথ থেকে। আরও পড়ুন- দিনেই ঘনাল আঁধার! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুত্‍-সহ বৃষ্টি


বজ্র-বিদ্যুত্‍-সহ বৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলাতেও। বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে রেল পরিষেবাতেও। ৫ জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সব জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। থাকছে সার্চ ডিপার্টমেন্ট কন্ট্রোল রুমও। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীদের পথে নামতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। আগাম সতর্কতা হিসেবে ডিভিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেও নির্দেশ  দেওয়া হয়েছে সেচ দফতরকে।


বৃষ্টি এবং জলজমার সমস্যা মোকাবিলা নিয়ে বুধবার জরুরি বৈঠকে বসবেন সেচমন্ত্রী। মূলত কলকাতা সংলগ্ন চার জেলা- হাওড়া, হুগলি এবং দুই ২৪ পরগনার জেলাশাসক এবং সেচ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে এই বৈঠক হবে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন কলকাতা এবং বিধাননগরের পুর কমিশনাররাও।