নিজস্ব প্রতিবেদন: সব পক্ষই বলছে রাজনীতির করার সময় নয়। কিন্তু বারবার করোনা নিয়ে রাজনীতি করারই অভিযোগ উঠছে। কখনও কেন্দ্র-রাজ্যের সংঘাত, কখনও রাজ্য-রাজ্যপালের কখনও বা সরকার-বিরোধীর। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, করোনা বিদায় না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয় নিয়ে রাজনীতি করবেন না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক’দিন আগে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রাজ্যে আসা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। রাজ্যের অভিযোগ ছিল, কোনও আলোচনা ছাড়াই উপস্থিত হয় ওই প্রতিনিধি দল। অন্যদিকে কেন্দ্রের পাল্টা সুর, তাদের কাজে বাধা দিচ্ছে রাজ্য। অধিক সংখ্যায় করোনা পরীক্ষা না হওয়া, অপর্যাপ্ত চিকিত্সা সামগ্রী, চিকিত্সা পরিকাঠামো নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।


আরও পড়ুন- ভারতে মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই, বিস্ফোরক রিপোর্ট পেশ মার্কিন কমিশনের


এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বেডের কোনও সমস্যা নেই। কলকাতায় করোনা চিকিত্সার জন্য ৭৯০টি বেড ফাঁকা রয়েছে। লোকবলও বাড়ানো হয়েছে। একসঙ্গে ১৪টা ল্যাব যুদ্ধকালীন তত্পরতায় কাজ করছে। মমতার পাল্টা কটাক্ষ, লকডাউনও করবো, রাজ্য সরকারের সমালোচনাও করবো এটা কি ঠিক! তিনি বলেন, “একদিন একটা হাসপাতালে ১০ জন মারা যেতে পারে। আবার একটা হাসপাতালে একদিন একজনও না মারা যেতে পারে।”


মুখ্যমন্ত্রী এ দিন আরও বলেন, “এখনই তো স্বচ্ছ ভারত করার সময়। কাল কোনও নির্বাচন নেই যে এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছে। নির্বাচন এলেই মানুষ আপনাদের বুঝিয়ে দেবে।” তার পর মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, যতদিন না করোনা বিদায় নিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত তিনি কোনও রাজনীতি করবেন না। বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “রাজনীতি করবেন না, আপনারাও কথা দিন।”