ফের কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ, এবার এক কথায় সভার অনুমতি দিল রাজ্য সরকার
লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে যদিও বদলাতে শুরু করে ছবিটা। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজকীয় উত্থানে কিছুটা নরম হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহেই উপযাচক হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুজোর মুখে কলকাতায় আসছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আর এবার একবারেই তাঁর সভার আবেদন মঞ্জুর করল রাজ্য সরকার। আগামী ১ অক্টোবর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা করার কথা তাঁর।
দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে অমিত শাহ কলকাতায় হাজির থাকবেন বলে আগেই জানিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। শহরের একাধিক পুজোর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোর স্টেজিয়ামে দলীয় কর্মীদের নিয়ে সভা করবেন তিনি। সেই সভার অনুমতি চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। আর বেনজিরভাবে এবার প্রথম আবেদনেই সভার অনুমতি দিল রাজ্য।
লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে সভা - সমাবেশের অনুমতি নিয়ে সংঘাত চরমে। বিজেপির অভিযোগ, তাদের উত্থান রুখতে বিভিন্ন অছিলায় সভা ও অন্যান্য কর্মসূচির অনুমতি দিচ্ছে না রাজ্য প্রশাসন। কখনো আইনশৃঙ্খলার কারণে, কখনও আগে থেকেই ওই জায়গায় অন্য সংগঠনের সভা রয়েছে বলে দাবি করে আবেদন নামঞ্জুর করা হচ্ছে। এমনকী লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের হেলিকপ্টার অবতরণের অনুমতি দেয়নি রাজ্য প্রশাসন। যার জেরে গোটা দেশে সমালোচিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে যদিও বদলাতে শুরু করে ছবিটা। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজকীয় উত্থানে কিছুটা নরম হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহেই উপযাচক হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। দেখা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও। প্রায় আড়াই বছর পর মুখোমুখি হলেন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী।
ষষ্ঠ পে কমিশনের সুপারিশে শিলমোহর, দ্বিগুণ হল রাজ্য সরকারি কর্মীদের গ্র্যাচুইটির অঙ্ক
বিরেধীদের অভিযোগ, সারদাকাণ্ডে যখন রাজীব কুমারকে মরিয়া হয়ে খুঁজছে সিবিআই, তখন নিজের পিঠ বাঁচাতে দিল্লি গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির সঙ্গে রফা করে সারদাকাণ্ডে নিজেকে ও পরিবারের সদস্য বাঁচানোই ছিল প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। তার পরই এক কথায় অমিত শাহের সভার অনুমতি দিল রাজ্য সরকার। যাতে স্পষ্ট, চাপ রয়েছে শাসকদল ও সরকারের ওপরে।