নিজস্ব প্রতিবেদন: বুথে গোলমালকে কেন্দ্র করে চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচির মাথাভাঙার ১২৬ নম্বর বুথে জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। গুলিতে মৃত্যু হয় এলাকার ৪ যুবকের। ওই ঘটনার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, গোটা ঘটনার তদন্ত হবে। দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই শীতলকুচি ঘটনার তদন্তে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম(SIT) গঠন করল রাজ্য সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সাত দিনে বিশ্বে মোট করোনা আক্রান্তের অর্ধেক ভারতে, মৃত্যু ২৫%, জানাচ্ছে WHO


ঘটনার পরই কোচবিহারের  এসপি দেবাশীষ ধর জানিয়েছিলেন কয়েকশো লোক কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরে হামলা করে।  আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালিয়েছে সিআইএসএফ।  অন্যদিকে, সিআইএসএফেরও প্রায় একই দাবি। কিন্তু এলাকার মানুষের বক্তব্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি মিলছিল না। ফলে ওই ঘটনার তদন্ত করতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিআইডি-র(CID) একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম(SIT গঠন করেছে রাজ্য সরকার।


উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই কোচবিহারের এসপিকে সরিয়ে দিয়েছে সরকার। তাঁর বিরুদ্ধেও তদন্ত হবে। পাশাপাশি ওই ঘটনায় আইওকে আজ তলব করা হয়েছে। মাথাভাঙার আইসিকে তলব করা হবে আগামী সপ্তাহে।


কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচির(Shitalkuchi) ১২৬ নম্বর বুথে ঠিক কি হয়েছিল? কী কারণে গুলি চালাতে বাধ্য হল সিআইএসএফ? সেদিন কে কী বলেছিলেন?


কোচবিহারের (Cooch Behar) পুলিস সুপার দেবাশিস ধরের কথায়,'বাহিনীর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল দুষ্কৃতীরা। তখন গুলি চালাতে বাধ্য হন জওয়ানরা।' পাশাপাশি গোটা ঘটনাক্রম বিবৃতি দিয়ে জানায় সিআরপিএফ। তাদের বক্তব্য,'শূন্যে গুলি চালানোর পরেও উন্মত্ত জনতাকে ঠেকানো যায়নি। সে কারণে গুলি চালাতে বাধ্য হন জওয়ানরা।'


আরও পড়ুন- ভয়াবহ পরিস্থিতি দেশে ! ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪ লক্ষ ১২ হাজার ২৬২


সিআইএসএফের বিবৃতি অনুযায়ী,'সকাল ৯টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ১২৬ নম্বর সিআইএসএফের কিউআরটি-র (Quick Reaction Team) উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। কয় কমান্ডার সুনীল কুমারের নেতৃত্বাধীন দলকে আক্রমণ করে ৫০-৬০ জন। ভোটারদের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছতে বাধা দিচ্ছিল তারা। কিউআরটি-র গাড়িতে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। জওয়ানদের উপরেও চলে হামলা। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে আত্মরক্ষায় ৬ রাউন্ড গুলি চালায় কিউআরটি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন সিআইএসএফের ডিসি অ্যাডহক কমান্ডান্ট দীপক কুমার।' 


কোচবিহারের (Cooch Behar) পুলিস সুপার দেবাশিস ধর বলেন,'সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া ঠিকঠাক চলছিল। ভোটের লাইনে ব্যক্তি সংজ্ঞা হারান। সিআইএসএফ মারধর করেছে বলে গুজব রটে যায়। অস্ত্র নিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশো লোক চলে আসে। জওয়ানদের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। রাইফেল ছিনিয়ে বুথের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। তখন সিআইএসএফ গুলি চালায়।