নিজস্ব প্রতিবেদন:  পঞ্চায়েত মামলা গড়াতে পারে সুপ্রিম কোর্টে। হাইকোর্টে সিঙ্গল বেঞ্চে মঙ্গলবারের শুনানিতে সওয়ালের পর মঙ্গলবার এমনই দিলেন ইঙ্গিত তৃণমূল আইনজীবী তথা শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ফের শুনানি হবে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে। ততক্ষণ পর্যন্ত অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ জারি থাকবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আর্জি জানান তৃণমূলের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে সওয়াল করেন তিনি। মূলত ২৪৩ (ও) ধারার উপরই জোর দেন তিনি, যেখানে বলা হয়েছে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ার পর সে বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত।  


বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের কাছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জি, ‘‘আদালতের সিদ্ধান্ত নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে। আদালত তা করতে পারে না। তাই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করুন।’’ এক্ষেত্রে ২০০০ সালে অশোক কুমার বনাম কমিশনের মামলার নজির টেনে সওয়াল করেন তিনি।


আরও পড়ুন:  পঞ্চায়েত আইন না জেনেই তিনি পদে রয়েছেন? কমিশন সচিবকে কটাক্ষ ডিভিশন বেঞ্চের


এর উত্তরে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, ‘‘আদালত যে হস্তক্ষেপ করতে পারে না, সে বিষয়ে আমি সহমত। ৯ তারিখ পর্যন্ত এই অবস্থানই ছিল। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের পর মনোনয়নের দিন বাড়িয়েও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তা প্রত্যাহার করে নেয়। এতেই আদালত উদ্বিগ্ন। আদালত এরপরই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে।’’


বিচারপতি তালুকদারকে এরপর আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচন আইন, ২০০৩-এর  ৪৬(২) ধারা অনুযায়ী, মনোনয়নের দিন বাড়িয়ে দেওয়া সংক্রান্ত কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে আইনি ক্রুটি ছিল। তাই কমিশন তা প্রত্যাহার করে নেয়।


সওয়াল জবাব চলাকালীনই কিছুটা হালকা সুরে বিচারপতি বলেন, 'এই মামলা এখানে শেষ হবে না।' এরপরই তৃণমূলের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''সেটা তো আমারও মনে হচ্ছে। হাইকোর্টেই এই মামলার শেষ নয়।''  কল্যাণের এই বক্তব্য যে কোন দিকে ইঙ্গিত করল, তা রাজনৈতিক মহলেও পরিস্কার।


আরও পড়ুন: ডিভিশন বেঞ্চে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি শেষ, কোন পথে গড়াল জল?


অন্যদিকে, এদিন শুনানির সময় সিপিএমের তরফে আদালতে আর্জি জানানো হয়। সিপিএমের দাবি, ‘‘কমিশনারকে অযোগ্য ঘোষণা করুক আদালত। নতুন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে ভোটের নির্ঘণ্ট ঠিক করা হোক।’’ তবে আদালত সিপিএম-এর এই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। এরপর এই প্রসঙ্গ টেনেই বিজেপিকে খোঁচা দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘আদালতে বিজেপির কেন নতুন কোনও আর্জি নেই?’’


মঙ্গলবার আদালত কক্ষে বিজেপির উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘‘বিরোধীদের অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। যদিও তাঁদের কাছে এই বক্তব্যের সমর্থনে কোনও তথ্য নেই। আদালত তথ্যে নজর দেয়, ভাষণে নয়। বিজেপি ৩৮,১৮৫টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে। এরপরও তারা অভিযোগ করছে কেন?’’