সৌরভ পাল


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাঁচরাপাড়ার বাবা-ছেলের ডুয়েলে যেখানে সরগরম রাজ্য রাজনীতি, সেখানে ভোটের দিনে একেবারে উল্টো ছবি দেখল বালি। রাজনীতির ধারপাশ মারায় না যে ছেলে, সেই কি না  বাবার হয়ে আগলে রাখল  বুথ। 


আরও পড়ুন- উধাও বৈরিতা, সৌভাতৃত্বে উজ্জ্বল দিনহাটা


বাবা প্রশান্ত কুমার রায় বালির হলমার্কওয়ালা সিপিআই(এম) নেতা। এবার আবার দূর্গাপুর-অভয়নগর গ্রাম পঞ্চায়েত ১-থেকে সিপিআই(এম) প্রার্থীও তিনি। ছেলে সৌমিত্র কুমার রায়ের এতে নৈতিক সমর্থন থাকলেও বাবার সঙ্গে কখনই মাঠে-ময়দানে নেমে সক্রিয় রাজনীতি করেননি। তবে পঞ্চায়েত ভোটের দিন যেভাবে ফ্রন্টলাইনে নেমে শাসক দলকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন, তাতে অভয়নগরের অনেকেই বলছেন, ‘এ ছেলের ভয় নেই, একেবারে বাপ কা বেটা'।  


আরও পড়ুন- বাড়িতে পৌঁছে যাবে লাল গোলাপ, উল্টো করে ধরলে কাঁটা ফুটবে : অনুব্রত মণ্ডল


বুথরক্ষকের ভূমিকায়, তাও আবার প্র্যাকটিস ছাড়াই! কেমন ছিল এই অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা? ফুটবল পাগল ছেলে জানাল, “সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেছি মাত্র। বাবা বলল পোলিং এজেন্ট হতে হবে। এর আগেও ২০০৩-এ বাবা ওই কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে হেরে গিয়েছিল। তবে জানতাম এবারের লড়াইটা আরও কঠিন। তৃণমূল ছাড়াও কংগ্রেস-বিজেপি এমনকী নির্দল প্রার্থীও লড়ছে। ওই পাড়ায় অনেকেই পার্টি মেম্বার, তবে কেউ সাহস করে এগিয়ে আসেননি। তাই বাবার কমরেড হলাম”।


আরও পড়ুন- রং না দেখে পাল্টা চোখ রাঙানি, দেখুন ওসির 'দাবাং' রূপ!


প্রশান্ত কুমার রায় অবশ্য জানাচ্ছেন, “তিন স্তরেই এজেন্ট ঠিক ছিল। কিন্তু শেয মুহূর্তে একজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় গুল্লুকে (সৌমিত্রের ডাক নাম) এজেন্ট করা হয়েছে”। একই সঙ্গে প্রশান্তবাবু জানিয়েছেন, “পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি ভাল নয়। অনেকেই ভোটের ময়দান থেকে পিছু হটেছে। যারা নেমেছে, মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই পা বাড়িয়েছে। হাতে কলমে ভোট করানোর অভিজ্ঞতা ছেলের না থাকলেও ও পুরোভাগেই পাশে ছিল। মানুষ আমার বুথে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট দিয়েছে”।


আরও পড়ুন- বুথের মধ্যে বিজেপি এজেন্টকে চড় মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথের


প্রসঙ্গত, দূর্গাপুর-অভয়নগর গ্রাম পঞ্চায়েত ১-এর ২৫৮ শাখায় প্রশান্তবাবুর লড়াই ছিল মূলত তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী দেবাশিষ ব্যানার্জি। শাসক দল জিতলে তিনিই সম্ভাব্য পঞ্চায়েত প্রধান। হেভিওয়েট প্রার্থীর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর অবশ্য জেতার আশা করছে  দুঁদে সিপিআই(এম) নেতা প্রশান্ত কুমার রায়ও।