চম্পক দত্ত: বালি মাফিয়ার দৌরাত্ম্য। একশো দিনের কাজে বালি বস্তা দিয়ে বাঁধা হয়েছিল নদী বাঁধ। সেই নদীর পাড় কেটে বালি চুরির প্রতিবাদ করলে বালি মফিয়া একত্রিত হয়ে ভাঙচুর করলো বাড়িঘর।  প্রশাসনের চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল শতাধিক গ্রামবাসী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Jawan Died In Siliguri: এনজেপি স্টেশনে ভয়ংকর ঘটনা; বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ১ জওয়ানের, আশঙ্কাজনক ৩


১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বস্তা দিয়ে বাঁধা হয়েছিল শিলাবতী নদীর বাঁধ,রাতের অন্ধকারে সেই বস্তা কেটে বালি চুরি করছে প্রতিনিয়ত বালি মাফিয়ারা।এলাকাবাসীর অভিযোগ, নদী বাঁধ,গ্রাম ও  পাশের বড় কংক্রিটের ব্রীজ রক্ষা করতে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করে গ্রামের মানুষজন।আর সেই প্রতিবাদের পরে প্রতিহিংসার শিকার গ্রামবাসীরা।বালি মাফিয়ারা রাতের অন্ধকারে চড়াও হয়ে নদীর পাড়ে থাকা বেশ কয়েকটি দোকান ঘরে ভাঙচুর করল,বিদ্যুতের মিটার সহ ভাঙচুর চালানো হয় দোকান ঘর।


পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার কড়াশিয়া গ্রামের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা।এই ঘটনায় সংলগ্ন পলাশচাবড়ি এলাকায় চন্দ্রকোনা-পলাশচাবড়ি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছে গ্রামবাসীরা। জানাযায়,কয়েক বছর আগে কড়াশিয়া গ্রামে শিলাবতী নদীর পাড় বাঁধা হয়েছিল একশ দিনের কাজের প্রকল্পে বালির বস্তা দিয়ে।এলাকার মানুষদের অভিযোগ সেই পাড় বাঁধার পরেই রাতের অন্ধকারে পাশের গ্রামের বালি মাফিয়ারা বালি চুরি করছিল নদী থেকে।এমনকি সরকারি ভাবে বালি বস্তা দিয়ে বাঁধানো নদী পাড় কেটে সেখান থেকে বালির বস্তা বার করে রাতের অন্ধকারে চুরি হয়ে যাচ্ছে।


এই নিয়ে একাধিকবার পুলিস প্রশাসনকে জানিয়েছিল গ্রামের মানুষজন কিন্তু প্রশাসন বালি চুরি বন্ধের আশ্বাস দিলেও বালি চুরি বন্ধ হয়নি।প্রতিনিয়ত রাতের অন্ধকারে নদীর পাড় কেটে চুরি হচ্ছিল বালি আর এতেই ঘটল বিপত্তি। বুধবার রাতেও বালি চুরি করছিল বালি মাফিয়ারা গ্রামের মানুষেরা একত্রিত হয়ে বাধা দেয়, তারপরেই বালি মাফিয়ারা রাতের অন্ধকারেই চড়াও হয় নদী লাগোয়া বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর করে, এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করতে ফাটানো হয় বোম বলে অভিযোগ। কড়াশিয়া গ্রামের মানুষদের দাবি বালি মাফিয়ারা রাতের অন্ধকারে বোম ফাটা এলাকায়।তারা প্রতিবাদ করায় ভয় সৃষ্টির জন্য।


প্রতিনিয়ত এইভাবে নদীর পাড়কেটে বালি চুরির ফলে যেমন ক্ষতি হবে নদীর পাড়ের,ক্ষতি হবে গুরুত্বপূর্ণ নদীর পাশে থাকা একটি কংক্রিটের ব্রীজের।যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রশাসনিক চরম গাফিলতির ফলেই বালি মাফিয়াদের এত দৌরাত্ম।ইতিমধ্যে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে গ্রামের মানুষজনেরা।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চন্দ্রকোনা থানার পুলিস।গ্রামবাসীদের দাবি মতো নদী বাঁধ ঘুরে দেখেন পুলিস আধিকারিকরা।অবৈধভাবে বালি লুঠ বন্ধে এবং তার প্রতিবাদ করায় দোকান ঘর ভাঙচুর করার ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি না দেওয়া হলে অবরোধ চলবে বলে জানান অবরোধকারী গ্রামবাসীরা।


পুলিসের সঙ্গে একাধিক আলোচনার পর দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা পর অবরোধ মুক্ত হল রাজ্য সড়ক,যান চলাচল স্বাভাবিক হল।অবরোধকারী এলাকাবাসীদের দাবি, পুলিস জানিয়েছে বালি তোলা বন্ধ করতে ওই এলাকায় বসবে পুলিশ ক্যাম্প এমন কি রাতে যে সমস্ত বালি মাফিয়ারা দৌরাত্ম চালিয়েছে তাদেরও চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে। এমনকি রাস্তা যাতায়াতের ক্ষেত্রে এলাকাবাসীকে যাতে বালি মাফিয়াদের রোষের শিকার না  হয় সেই বিষয়ে সুনিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।



আরও পড়ুন, বুধবার থেকে নিখোঁজ, সকালে মিলল রক্তাক্ত দেহ! তীব্র চাঞ্চল্য


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)