Biman Bose On Anubrata: অনুব্রতর দেহরক্ষীর সম্পত্তি আসলে কার, তৃণমূল নেতার না অন্য কারও: বিমান
পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের গ্রেফতারের পর তৃণমূলে এখন বড় ধাক্কা অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতার। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা। অন্য়দিকে, তদন্তকারীদের অনুমান অনুব্রত দেহরক্ষী সেহগল হোসেনের সম্পত্তির পরিমাণ একশো কোটিরও বেশি
প্রদ্যুত্ দাস: মাছ বিক্রি দিয়ে যার জীবন শুরু তার এত সম্পত্তি হয় কীভাবে? অনুব্রত মণ্ডলকে আটক করার পর জলপাইগুড়িতে এমনটাই প্রশ্ন তুলে দিলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বিমান বসু। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে বিমান বসু বলেন, অনেক আগেই গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল অনুব্রতর। এতদিন সিবিআইয়ের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছিল। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বা জেলা সভাপতি হলে যদি এই টাকা পাওয়া যায় তাহলে মন্ত্রী হলে কী হবে? এর আগেও অনুব্রতকে ১০ বার ডাকা হয়েছিল। উনি গিয়েছিলেন মাত্র একবার। সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে এত ভয় কিসের? দেহরক্ষীর কাছে টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে? একজন দেহরক্ষীর কাছে যে পরিমাণ টাকার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তা আসলে কার? অনুব্রত নাকি অন্য কারও?
আরও পড়ুন-Saigal Hussain: অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর জামিনের আবেদন খারিজ সিবিআই আদালতের
উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের গ্রেফতারের পর তৃণমূলে এখন বড় ধাক্কা অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতার। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা। অন্য়দিকে, তদন্তকারীদের অনুমান অনুব্রত দেহরক্ষী সেহগল হোসেনের সম্পত্তির পরিমাণ একশো কোটিরও বেশি। সূত্রে খবর, সেহগলকে জেরা করে অনুব্রত সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বহু তথ্য পেয়েছে সিবিআই।
বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় সিবিআইয়ের বিশাল একটি টিম। সঙ্গে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারা গিয়ে অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলে। প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশ সময় বাড়ির বাইরে অপেক্ষার পর তারা ভেতরে ঢোকেন। ভেতরে গিয়ে পরিবারের সবার মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক পর অনুব্রতকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন তদন্তকারীরা। তারপর তাঁরা সোজা চলে যান আসানসোলের পথে। আসানসোলে বিশেষ আদালতে অনুব্রতকে ১৪ দিনের হেফাজত চায় সিবিআই। সওয়াল জবাব শেষে অনুব্রতকে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
এখন অনুব্রতর বিরুদ্ধে কা ব্যবস্থা নেবে দল? এনিয়ে আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, দল কোনও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। একথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়েই চলে দল। মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী কেউ কিছু করলে তার সঙ্গে দল নেই। কারণ দলের সম্পদ মানুষ।