এক দলে দিলীপ-সুজন-ববি-জ্যোতিপ্রিয়, বিপক্ষে সুব্রত
এই চার রাজনীতিকই রয়েছেন তালিকায়।
কমলিকা সেনগুপ্ত
মেলালেন তিনি মেলালেন। অথবা, ভাঙলেন তিনি ভাঙলেন। ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে আপাতত এমনটাই পরিস্থিতি বঙ্গীয় রাজনীতিতে।
দল, পতাকা, রাজনীতি শিকেয় তুলে বিশ্বকাপ জ্বরে কাবু রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা। হোক আলাদা দল, কিন্তু ফুটবল দুনিয়ায় সমর্থনের প্রশ্নে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আর সুজন চক্রবর্তী এখন এক বিন্দুতে দাঁড়িয়ে। ফুটবল প্রেমে কোনও দলাদলি নেই যুযুধানদের মধ্যে। বরং একমাস ওঁদের মনে শুধুই হলুদ-সবুজ। নেমার-প্রীতিতে বুঁদ দুই দুঁদে রাজনীতিকই। রাজনীতিতে তাঁরা ভিন্ন মেরুর বাসিন্দা। কিন্তু ফুটবল মানে দু'জনের কাছেই শিল্প। ফুটবল মানে তাঁদের কাছে ব্রাজিল আর নেমার। শুধু খাদ্যমন্ত্রী এবং বাম পরিষদীয় দলের নেতাই নন, ববি হাকিম আর দিলীপ ঘোষের কাছেও ফুটবল মানেই লাতিন আমেরিকা।
তিনি যে শুধুই মেলান, তা আর বলা যাচ্ছে কই! গোল চামড়ার বস্তুটা যেমন একদিকে মিলিয়ে দিতে পারে, তেমন বিরোধ বাধিয়ে দিতেও ওস্তাদ। ওদিকে রাশিয়ায় বিশ্বযুদ্ধ, আর এদিকে বঙ্গ রাজনীতিতে বেধে গিয়েছে যুদ্ধ। সমর্থনের প্রশ্নে এক্কেবারে ভিন্ন মেরুতে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ববি হাকিম এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তৃণমূল মন্ত্রিসভায় তাঁর থেকে দুই জুনিয়র সহকর্মীর ব্রাজিল-প্রেমকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছেন বর্ষীয়ান সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ইউরোপীয় পাওয়ার প্লের কাছে লাতিন আমেরিকা তো নস্যি, এমনটাই দাবি মাঠে বসে বহু বিশ্বকাপ দেখে আসা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের।
এই সব হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা কেউ নিজের দলের স্ট্রাইকার, কেউ ডিফেন্ডার, কেউ আবার গোলকিপার। দলের কাজ, সরকারি কাজ সবই থাকবে। তবে একমাস বঙ্গ রাজনীতির কারিগরদের মন পড়ে থাকবে রাশিয়ায়।