হিংসা ও দুর্নীতির রাজনীতি ছুঁড়ে ফেলুন, বাংলার জন্য বার্তা যোগীর

বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ৭২ ঘণ্টার জন্য প্রচারে তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। শুক্রবার থেকে অবশ্য তিনি আবার প্রচার শুরু করেন।

Updated By: Apr 22, 2019, 11:16 AM IST
হিংসা ও দুর্নীতির রাজনীতি ছুঁড়ে ফেলুন, বাংলার জন্য বার্তা যোগীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে সোমবার বাংলায় আসছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এদিন তিনি চারটি জনসভা করবেন বাংলায়। তার আগেই সকালে ট্যুইট করে বাংলার ভোটারদের জন্য বিশেষ বার্তা দিলেন এই বিজেপি নেতা।

প্রথম ট্যুইটটিতে তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নকে বাংলার বাসিন্দাদের সামনে তুলে ধরতে তিনি সোমবার পশ্চিমবঙ্গে আসছেন। তাঁর মতে, একজন নেতা বেছে নেওয়ার সময় এসেছে বাংলার বাসিন্দাদের জন্য।

আরও পড়ুন: আগের দুই দফা থেকে শিক্ষা নিয়ে তৃতীয় দফায় মোতায়েন বাহিনী: কমিশনের পর্যবেক্ষক

দ্বিতীয় ট্যুইটে তিনি আক্রমণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস। আর তা করতে গিয়ে তিনি টেনে এনেছেন বিবেকানন্দ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। বাংলায় হিংসার অভিযোগ তুলে তিনি দায় চাপিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস ও বামেদের উপর।

ওই ট্যুইটে বাংলার মানুষের কাছে তিনি আবেদন করেন, এবার হিংসা ও দুর্নীতির রাজনীতিকে ছুঁড়ে ফেলুন। আর নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দিন।

আরও পড়ুন: তৃতীয় দফার ভোটের আগে বিজেপির ইমরান খানকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল   

সোমবার বাংলায় চারটি জনসভা রয়েছে। তাঁর প্রথম জনসভা উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। সেখান থেকে তিনি যাবেন মুর্শিদাবাদের বহরমপুর। সেখানে তাঁর দ্বিতীয় নির্বাচনী জনসভা রয়েছে। এর পর দুপুরে তিনি পূর্ব বর্ধমানে জনসভা করবেন। সেখান থেকে তিনি চলে যাবেন হুগলিতে। সেখানেই তিনি এদিনের শেষ নির্বাচনী জনসভাটি করবেন।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে যোগী আদিত্যনাথ বেশ কয়েকবার বিতর্ক তৈরি করেছেন। বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ৭২ ঘণ্টার জন্য প্রচারে তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। শুক্রবার থেকে অবশ্য তিনি আবার প্রচার শুরু করেন।

আরও পড়ুন: মালদা দক্ষিণে ত্রিমুখী লড়াই! জেনে নিন প্রার্থীদের পোর্টফোলিও

যদিও ওই তিনদিন অবশ্য চুপ করে বসে থাকেননি যোগী আদিত্যনাথ। মন্দিরে মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের বাড়ি গিয়েছেন। খাওয়াদাওয়া করেছেন। সরকারি কাজেও ব্যস্ত থেকেছেন।

ফলে সোমবার তিনি বাংলার জন্য জনসভাগুলিতে ঠিক কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে বিজেপির কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।

.