নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল যুবতী। সেই আক্রোশে যুবতীর মুখে গরম সরষের তেল ঢেলে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে।  আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবতী বর্তমানে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের। এই ঘটনায়  ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্ত যুবক ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর, ছিনতাইকারীদের হাতে দিনে দুপুরে খুন গৃহবধূ


কেতুগ্রামের এহিয়াপুরের বাসিন্দা আক্রান্ত যুবতী। যুবতীর অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক ফজল শেখ বহুদিন ধরেই তাকে  পথেঘাটে  উত্যক্ত করত। তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল ফজল। কিন্তু  সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর তারপর থেকেই তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে ফজল।  এমনকি ওই যুবতীর বিয়ের পরও ফজল তাঁকে উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ।  যুবতীর ভাইদের অভিযোগ,  ফজলের হাত থেকে বাঁচাতে কাশ্মীরের শ্রীনগরে বাঁদিপুরে বোনের বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও গ্রামে বাপের বাড়িতে এলেই তাঁকে হেনস্থা করত অভিযুক্ত যুবক।


আরও পড়ুন, বলে গিয়েছিলেন, 'তাড়াতাড়ি ফিরব'... কফিনবন্দি হয়ে ফিরছেন পুলওয়ামায় শহিদ নদিয়ার সুদীপ


হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ওই যুবতী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির  বারান্দায় শুয়েছিলেন তিনি। সেইসময় ফজল শেখ পাঁচিল টপকে বাড়ির ভিতর ঢোকে। তারপর মুখে গরম কিছু ঢেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। যন্ত্রণায় চিত্কার করে ওঠেন যুবতী। তাঁর চিত্কারে ছুটে আসেন যুবতীর মেজ ভাই। তিনি এসেই ওই যুবতীকে উদ্ধার করেন। দেখা যায়, ওই যুবতীকে খুন করার জন্য তাঁর মুখে গরম সরষে তেল ঢেলে দিয়েছে ফজল শেখ।


আরও পড়ুন,ভাইয়ের হাতে খুন দাদা, গ্রেফতার অভিযুক্তের বাবা


গুরুতর জখম অবস্থায় ওই যুবতীকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মুখের একাংশ পুড়ে গিয়েছে ওই যুবতীর। এই ঘটনায় কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত যুবতীর পরিবার। তবে  অভিযুক্ত ফজল শেখ পলতাক। তাঁর খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।