নিজস্ব প্রতিবেদন: বিয়ের চাপ দিতে প্রেমিকার বাড়ির সমানে ধরনা দেওয়ার ফল হল উল্টো। এলাকার লোকের মারধরে ৫টি সেলাই পড়ল প্রেমিক রাকেশ রায়ের মাথায়। জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ির ঘটনা। রাকেশ রায় এখন হাসপাতালে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-থমথমে ভাটপাড়ায় আজ আলুওয়ালিয়ার নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধিদল, অশান্তি এড়াতে মোতায়েন পুলিস-র‍্যাফ


ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার বিকেলে। ধূপগুড়ি সাকোয়াঝোড়া এলাকার রাজধানী পাড়া এলাকার বাসিন্দা পুষ্প রায়ের(নাম পরিবর্তিত)সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল রাকেশ রায় নামে এক যুবকের। বিয়েও করতে চায় দু'জনে। কিন্তু বেকার ছেলের সঙ্গে বিয়ের ব্যাপারে পুষ্পর বাড়ির লোকের আপত্তি থাকায় বিয়ে হচ্ছিল না।



অবশেষে বিকেলে রাজধানী পাড়ায় পুষ্পর বাড়ির সামনে তাদের দুজনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু ছবি একটি প্ল্যাকার্ডে সাঁটিয়ে প্রেমিকার বাড়ির ধরনায় বসে প্রেমিক রাকেশ। কিছুক্ষণ পর পুষ্পর বাড়ির লোক এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে রাকেশকে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে হাসপাতালে।


আরও পড়ুন-সহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ ট্রাফিক পুলিস কনস্টেবলের বিরুদ্ধে


ধূপগুড়ি হাসপাতালের বেডে শুয়ে রাকেশ জানায়, ‘দু বছর ধরে আমাদের প্রেম। আমরা দুজনেই সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। আমার সঙ্গে বিয়ে দেবে না ওদের বাড়ির লোক। আমি বলি আমরা দুজনে পালিয়ে বিয়ে করবো। ও রাজি হল না। বলে আমার বাড়িতে এসে বলো। এরপর আজ বিকেলে ধরনায় বসি।’ ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ পুষ্পর পরিবার।


সম্প্রতি ধূপগুড়ি কলেজ পাড়া এলাকয় প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনায় বসে অনন্ত বর্মন নামে এক যুবক। এরপরে অনন্ত ও লিপিকার বিয়ে হয়। ওই প্রচেষ্টা সফল হওয়ায় এই ধরনের ধর্না এখন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যাচ্ছে বলে ধারনা ওয়াকিবহাল মহলের।