মোবাইলে পর্নোগ্রাফি দেখার অভ্যাস ডেকে আনতে পারে এই মারাত্মক বিপদগুলি!

আসুন, স্মার্টফোনে পর্নোগ্রাফি দেখার ৫টি অন্যতম ঝুঁকি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Jan 16, 2020, 11:46 AM IST
মোবাইলে পর্নোগ্রাফি দেখার অভ্যাস ডেকে আনতে পারে এই মারাত্মক বিপদগুলি!

নিজস্ব প্রতিবেদন: অনেকেই স্মার্টফোনে পর্নোগ্রাফি দেখেন। তবে স্মার্টফোনে পর্নোগ্রাফি দেখার আগে এর থেকে যে সব বিপদ হতে পারে সে সম্পর্কে সতর্ক হওয়া জরুরী। কারণ, স্মার্টফোনে পর্নোগ্রাফি দেখলে সেখানে স্টোর করা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারদের কাছে অনায়াসেই পৌঁছে যেতে পারে। এ ছাড়াও ম্যালওয়্যার-এর আক্রমন-সহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। আসুন, স্মার্টফোনে পর্নোগ্রাফি দেখার ৫টি অন্যতম ঝুঁকি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১) অনলাইন হ্যাকিং: অনলাইনে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা প্রতিদিন গ্রাহকদের ইন্টারনেট সার্ফিং-এর হিসট্রি-তে নজর রাখে। এই সব প্রতিষ্ঠানগুলি জানার চেষ্টা করে আপনি কী ধরণের বিজ্ঞাপন, বিষয়, ভিডিও বা ছবি দেখতে পছন্দ করেন। বেশিরভাগ মানুষই নিজের স্মার্টফোনে ফোন ব্যাঙ্কিং পাসওয়ার্ড, ইমেইল আইডি, আধার নম্বরের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেভ করে রাখেন। সাইবার অপরাধীরা খুব সহজেই মোবাইল লগ ইনের মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নিতে পারে। আর পর্নোগ্রাফির সাইটগুলিতে এই সব সাইবার অপরাধীরা ওঁত পেতে থাকেন। কুকিজ ডিলেট এবং প্রাইভেট ব্রাউজিং অপ্টিং করার মাধ্যমে অনলাইনে হ্যাকিং প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে তাও ঝুঁকি থেকেই যায়।

২) পর্ন টিকার: শুধুমাত্র সার্ভিস প্রোভাইডারই নয়, অ্যাপ এবং ব্রাউজার যারা ট্রাকিং করছেন তারাও আপনার মোবাইল অ্যাক্টিভিটি নজরে রাখছে। এটি গ্রাহকের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। স্মার্টফোনে পর্ন ছবি বা ভিডিও দেখার সময় পর্ন টিকার বা ভুয়া মোবাইল অ্যাপ চলে আসতে পারে। আর এই সব ভুয়ো অ্যাপ গ্রাহকের ব্যক্তিগত এবং মূল্যবান তথ্য অনায়াসেই চুরি করতে পারে।

৩) শিশু পর্নোগ্রাফি: অনলাইনে শিশু পর্নোগ্রাফি দেখা অত্যন্ত বিপজ্জনক। কারণ, হ্যাকররা খুব সহজে এ সব পর্নোগ্রাফির দর্শকদের মোবাইল স্টোরেজ বা তথ্য কাজে লাগাতে পারে অপরাধ মূলক কাজে। সে ক্ষেত্রে শিশু পর্নোগ্রাফি রাখার দায়ে জেলও হতে পারে।

৪) অপ্রয়োজনীয় পেইড সার্ভিস: পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটগুলিতে প্রতি মুহূর্তে গ্রাহকদের জন্য নতুন নতুন ‘পেইড সার্ভিস’-এর অপশন আসতে থাকে। পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট ঢুকতে গিয়ে মোবাইল গ্রাহকদের অজান্তেই এমএমএস, এসএমএস, প্রিমিয়াম এসএমএস, ডব্লিইএপি-সহ একাধিক পরিষেবা চালু হয়ে যায়। এই সব পরিষেবা অ্যাক্টিভ করার মাধ্যমে টাকা আয় করে ওই সাইটগুলো।

আরও পড়ুন: মান্ধাতার আমলের আগেও চল ছিল বিকিনির! এর ইতিহাস প্রায় ৩৫০০ বছরের পুরনো

৫) র‌্যানসমওয়্যার: অনলাইনে টাকা দিয়ে যারা পর্নোগ্রাফি দেখেন তাদের হ্যাকাররা সহজেই ট্র্যাক করতে পারে। আর মোবাইল হ্যাক করে তার আংশিক বা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হ্যাকারদের হাতে চলে যায়। এই ধরণের প্রতারণাকে বলে র‌্যানসমওয়্যার। গ্রাহকরা পর্নোগ্রাফি দেখতে কোনও অচেনা ওয়েবসাইটে ঢুকলেই নতুন একটি পপ আপ উইন্ডো মোবাইল স্ক্রিনে ফুটে উঠবে। এই পপ আপ উইন্ডো আপনার মোবাইল লক করে দিতে পারে, হ্যাঙ্গ করে যেতে পারে ফোন। ফোন মেমরি থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাকারদের হাতে পৌঁছে যেতে পারে, মুছে যেতে পারে চিরতরে। তাই সাবধান!

.