ভারতীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের ফোনে নজরদারি চালিয়েছে ইজ়রায়েলি স্পাইওয়্যার, স্বীকার করল Whatsapp

ম্যালওয়ার হামলার শিকার ব্যবহারকারীরা প্রত্যেকেই রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কর্মরত। আক্রান্ত ব্যবহারকারীদের তালিকায় আছে সাংবাদিক, কূটনীতিবিদ, মানবাধিকার কর্মী এবং শীর্ষস্থানীয় আমলারা।

Updated By: Oct 31, 2019, 03:34 PM IST
ভারতীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের ফোনে নজরদারি চালিয়েছে ইজ়রায়েলি স্পাইওয়্যার, স্বীকার করল Whatsapp

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছরের শুরুতে হোয়াটস্যাপের মাধ্যমে ভয়ানক ইজ়রায়েলি স্পাইওয়্যার ছড়িয়ে পড়েছিল অসংখ্য ভারতীয় ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনে। ইজ়রায়েলি স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়েছিল একাধিক সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীর গতিবিধির উপর। সেই সঙ্গে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও। স্পাইওয়্যারে আক্রান্ত ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এমনটাই জানিয়েছে হোয়াটস্যাপ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সে ব্যাপারে জানিয়েছে হোয়াটস্যাপ কর্তৃপক্ষ।  

চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবার ইজ়রায়েলি সাইবার সুরক্ষা সংস্থা এনএসও-এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয় হোয়াটস্যাপের মালিকানাধীন সংস্থা ফেসবুক। ফেসবুকের অভিযোগে জানানো হয়, এনএসও হোয়াটস্যাপের সার্ভার ব্যবহার করে ২০টি দেশের প্রায় ১,৪০০ জন ব্যবহারকারীর ফোনে ভয়ানক ম্যালওয়ার ছড়িয়ে দিয়েছে। ম্যালওয়ার হামলার শিকার ব্যবহারকারীরা প্রত্যেকেই রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কর্মরত। আক্রান্ত ব্যবহারকারীদের তালিকায় আছে সাংবাদিক, কূটনীতিবিদ, মানবাধিকার কর্মী এবং শীর্ষস্থানীয় আমলারা।

এনএসও নামের ইজ়রায়েলি সংস্থাটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার আগেই সেই স্পাইওয়্যার আক্রান্ত ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হোয়াটস্যাপ কর্তৃপক্ষ। পুরো বিষয়টি তাদের স্পষ্টভাবে জানানো হয়। হোয়াটস্যাপ জানায়, এই স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে চলতি বছরের শুরুর দিকের বেশ কিছু দিন নির্দিষ্ট কিছু ব্যবহারকারীর ফোনে নজরদারি চালানো হয়। ব্যবহারকারীর মেসেজ, কল লিস্ট এমনকি পাসওয়ার্ডের উপরেও নজরদারি চালানো হয়। এপ্রিলে প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে নজরদারি চালানো হয় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের স্মার্টফোনে। হোয়াটস্যাপের তরফ থেকে একটি মেসেজের মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যবহারকারীদের জানানো হয়, চলতি বছর মে মাসে এই ধরনের একটি ম্যালওয়ার প্রসারের চেষ্টা আটকানো হয়েছিল। খুব সম্ভবত আপনার নম্বরটি ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। আপনার তথ্য সুরক্ষিত থাকুক, সেটাই আমাদের কাম্য। 

আরও পড়ুন : আপনি না চাইলে আর কোনও WhatsApp গ্রুপে কেউ অ্যাড করতে পারবে না আপনাকে!

পিগসাস নামের এই স্পাইওয়্যারটি ভিডিয়ো কলের সময়ে ব্যবহারকারীর ফোনে প্রবেশ করে। ফোন রিসিভ করা না হলেও ফোনে এই স্পাইওয়্যারটি ইনস্টলড হয়ে যায়।

যদিও, ফেসবুকের সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে এনএসও। সংস্থার বক্তব্য, "আমরা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করছি এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করব। আমাদের প্রযুক্তি মানবাধিকার কর্মী বা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা হয়নি।" 

.