eSIM: ই-সিম কী? কোন ফোনে কাজ করে এই প্রযুক্তি? কতই বা দাম?
eSIM যে ফিজিক্যাল সিমের তুলনায় বেশি ভাল সংযোগ প্রদান করবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। তবে এটি একটি নতুন সিম কার্ড পাওয়ার জন্য দোকানে যাওয়ার ঝামেলা কমায়। কিন্তু eSIM-এর সবচেয়ে বড় নেতিবাচক দিক হল যে গ্রাহক যদি বার বার ফোন বদল করেন তাহলে সেক্ষেত্রে সিম কার্ড বদল করা সম্ভব নয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত কিছু বধর ধরেই ভারতে রয়েছে ইসিম ব্যবস্থা। কিন্তু অনেকেই eSIM প্রযুক্তির অস্তিত্ব সম্পর্কে জানেন না। কারণ সব স্মার্টফোন এই ব্যবস্থা ব্যবহারের সুযোগ দেয় না। কোনও মবাইলে এই ব্যবস্থা যোগ করার জন্য একটি ব্যয়বহুল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়। কারণ এটি সরাসরি মাদারবোর্ডে একটি স্থান তৈরি করে। অ্যাপল সেই ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে একটি যা তার বেশিরভাগ স্মার্টফোনে এই প্রজুক্তি ব্যবহারের সুযোগ দেয়। স্যামসাং এবং মোটোরোলাও এটি করে, তবে এটি তাদের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্মার্টফোনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। গুগলও এই eSIM সমর্থনও দেয়।
কিন্তু প্রশ্ন হল এই eSIM প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে? ভারতে কোন স্মার্টফোনটি এই ব্যবস্থা সমর্থন করে এবং দাম সস্তা?
ইসিম কী?
এই eSIM প্রযুক্তিটি কী? এটি কোনও ইলেকট্রনিক-সিম নয়। এটি এমবেডেড-সিম নামে পরিচিত এবং এর কারণ হল ইএসআইএম প্রযুক্তি ফোনের মাদারবোর্ডে এমবেডেড বা সোল্ডার করা হয়। এই বিকল্পটি স্মার্টওয়াচ এবং ড্রোনগুলিতেও পাওয়া যায়। কারণ এটি ডিভাইসে একটি অতিরিক্ত সিম কার্ড স্লট তৈরি করার ঝামেলা দূর করে।
সহজ কথায়, এই এমবেডেড বা ডিজিটাল সিম ব্যবহারকারীদের একটি ফিজিক্যাল ন্যানো-সিম ব্যবহার না করেই তাদের ক্যারিয়ার থেকে একটি সেলুলার প্ল্যান ব্যবহার করতে দেয়। এয়ারটেল, জিও, এবং ভিআই হল একমাত্র সংস্থা যারা ভারতের স্মার্টফোনে eSIM ব্যবস্থা অফার করে। এন্ড্রয়েড এবং আইওএস দুই ক্ষেত্রেই এই সুযোগ দেওয়া হয়।
কোন ফোনে কাজ করে?
বেশিরভাগ আইফোন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। iPhone 6 এবং তার উপরের মডেলগুলিতে eSIM ব্যবহার করা যায়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন স্যামসাং ফোনগুলির মধ্যে রয়েছে গ্যালাক্সি এস২০ সিরিজ, এস২১ সিরিজ, সমস্ত জেড ফোল্ড স্মার্টফোন এবং জেড ফ্লিপ ডিভাইস। অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মধ্যে রয়েছে মোটোরোলা Razr এবং গুগল পিক্সেল ২ এবং তার উপরের মডেল। কিন্তু এখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল স্মার্টফোনগুলিকে এই প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
কী ভাবে ব্যবহার হবে?
একটি eSIM ফোনে সক্রিয় করার প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ তবে অপারেটর হিসেবে পরিবর্তিত হয়। সংস্থাগুলি একটি eSIM এর জন্য আলাদাভাবে চার্জ করে না এবং গ্রাহকের নিয়মিত প্ল্যান একই নম্বরে ফরওয়ার্ড করা হয়। তাছাড়া, এয়ারটেল এবং জিও প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড উভয় প্ল্যানে eSIM করতে দেয়। Vi শুধুমাত্র পোস্টপেইড প্ল্যানে eSIM করার সুযোগ দেয়।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে নয়া চমক! নতুন আপডেটে দারুণ স্বস্তি পেতে পারেন ইউজাররা
এয়ারটেলে ইসিম করতে ১২১ নম্বরে ই-সিমের ইমেল আইডি এসএমএস করতে হয়। ভোডাফোনের জন্য ১৯৯ নম্বরে ই-সিমের ইমেল আইডি এসএমএস করতে হয় এবং জিও-র জন্য GETESIM পাথাতে হয় ১৯৯ নম্বরে।
ব্যবহারকারীরা সেটিংস অ্যাপে IMEI এবং EID নম্বর খুঁজে পেতে পারেন।
এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীরা প্রতিটি ক্যারিয়ার থেকে একটি এসএমএস পাবেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করবেন। অবশেষে, ব্যবহারকারীরা নিবন্ধিত ইমেল আইডিতে একটি QR কোড পাবেন, যা স্ক্যান করতে হবে। এছাড়াও, ইমেল আইডি সঠিক কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। গ্রাহক ক্যারিয়ারের অ্যাপ ডাউনলোড করে ইমেল আইডি চেক অথবা আপডেট করতে পারেন।
ইসিমের সুবিধা এবং অসুবিধা কী?
eSIM যে ফিজিক্যাল সিমের তুলনায় বেশি ভাল সংযোগ প্রদান করবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। তবে এটি একটি নতুন সিম কার্ড পাওয়ার জন্য দোকানে যাওয়ার ঝামেলা কমায়। কিন্তু eSIM-এর সবচেয়ে বড় নেতিবাচক দিক হল যে গ্রাহক যদি বার বার ফোন বদল করেন তাহলে সেক্ষেত্রে সিম কার্ড বদল করা সম্ভব নয়।