মিডল ফিঙ্গার 'দেখিয়ে' বিপাকে হোয়াটসঅ্যাপ
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিতে কথপোকথনের পোশাকি নাম ইমোজি বা ইমোটিকন। সেই ইমোজি নিয়েই এবার ঘোর বিপাকে পড়ল হোয়াটসঅ্যাপ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : শব্দের রৈখিক বিন্যাসে প্রাণ পায় অভিব্যক্তি। ছবিই বুঝিয়ে দেয় হাসি-ঠাট্টা, আনন্দ-দুঃখের না বলা অনুভূতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবিতে কথপোকথনের পোশাকি নাম ইমোজি বা ইমোটিকন। শব্দ খরচ না করে শুধু একটা ছবি ব্যবহার করেই কাজ হাসিল। সেই উদ্দেশ্যেই শুরু হয়েছিল ইমোজির ব্যবহার। যতদিন গেছে ততই নেটিজেনদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে ছবিতে কথা বলার প্রবণতা। আর জনপ্রিয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংখ্যায় বেড়েছে ইমোজি। বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন অভিব্যক্তির ইমোজি। সেই ইমোজি নিয়েই এবার ঘোর বিপাকে পড়ল হোয়াটসঅ্যাপ।
মিডল ফিঙ্গার ইমোজি প্রকাশ করায় জনপ্রিয় মেসেঞ্জার সার্ভিস হোয়াটসঅ্যাপকে পাঠানো হল আইনি নোটিস। আইনজীবী গুরমিত সিং মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপের ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে এই নোটিস পাঠিয়েছেন। নোটিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ভারতীয় সংবিধান অনুসারে মহিলাদের উদ্দেশে অশ্লীল, কুরুচিকর ও আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি অপরাধ। তাই ভারতে এধরনের ইমোজির ব্যবহারও অশ্লীল ও কুরুচিকর। এই ধরনের ইমোজির মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ সরাসরি অপরাধে মদত দিচ্ছে। তাই অবিলম্বে এই ইমোজি প্রত্যাহার করতে হবে।
আরও পড়ুন, পয়দা দিবসে মির্জা গালিবকে ডুডলে শ্রদ্ধার্ঘ্য
নোটিসে আরও বলা হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে মিডল ফিঙ্গার ইমোজিটি তুলে নিতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। আর তা হলে হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গুরমিত সিং।