মহাবিশ্বের ‘মহাধামাকা’য় তৈরি হয়েছে সোনা-রুপো-প্ল্যাটিনাম!
নিজস্ব প্রতিবেদন: ধনতেরাস উপলক্ষে সোনার দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়। জিএসটিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সব বয়সের মানুষ এখন সোনামুখী। আমজনতা সোনা কিনতে যখন ব্যস্ত, এমন সময়ে সোনার জন্মসূত্রের সন্ধান দিলেন বিজ্ঞানীরা। ধনতেরাসে এর চেয়ে মহাধামাকা কী হতে পারে! গবেষকরা বলছেন, সোনা উত্পত্তির পিছনেও ছিল মহাধামাকা।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ১৩ কোটি বছর আগে একটি মহাজাগতিক সংঘাতে সৃষ্টি হয়েছে সোনা, রুপো, প্ল্যাটিনামের মতো ভারী ধাতু। সেই সংঘাতের তরঙ্গের সংকেত পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, অগস্টে এমন একটি তরঙ্গ পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা মহকাশ গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা এই বিরল তরঙ্গ প্রত্যক্ষ করেছেন। তরঙ্গের অভিঘাত টের পেয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোও।
আরও পড়ুন- যে কোনও মুহূর্তে বেধে যাবে পারমাণবিক যুদ্ধ, হুমকি উত্তর কোরিয়ার
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, হাইড্রা নক্ষত্রপুঞ্জের এন জি সি ৪৯৯৩ নামে একটি গ্যালাক্সির অন্তর্ভূক্ত দুই নিউট্রন নক্ষত্রের সংঘর্ষ হয়েছিল ১৩ কোটি বছর আগে। মহাবিশ্বে জুড়ে মহাজাগতিক তরঙ্গে ঢেউ আছড়ে পড়ে। সেই তরঙ্গই আছড়ে পড়েছে পৃথিবীতেও। অগস্টে সেই তরঙ্গকে চিহ্নিত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লেজার ইনটারফেরোমিটার গ্র্যাভিশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরিস (লাইগো) এবং ইতালির ভাইগ্রো নামে ডিটেক্টরে। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী ডেভিড রেইটজ বলেন, “এটি মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় আতসবাজির খেলা।” এই দুই নক্ষত্রের সংঘর্ষে গামা রশ্মি উত্পন্ন হয়। এই সংঘর্ষের ফলে তৈরি হয় সোনা, রূপো, প্ল্যাটিনাম, ইউরেনিয়ামের মতো ভারী ধাতু।
আরও পড়ুন- ফের নৌকাডুবি নাফ নদীতে, মৃত্যু ১২ রোহিঙ্গার
১৯১৬ সালে এমনই মহাকর্ষ তরঙ্গে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আইনস্টাইন। আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্বে এই তরঙ্গের পূর্বাভাস দেন জার্মান বিজ্ঞানী। দু’বছর আগে ম্যাসাচুসেট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা দুটি ব্ল্যাক হোল থেকে তৈরি হওয়া মহাকর্ষ তরঙ্গ শনাক্ত করেন। এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত তিন জন মার্কিন বিজ্ঞানী নোবেল পান এ বছর নোবেল পুরস্কার পান।