নিজস্ব প্রতিবেদন- একবার নয়, সব মিলিয়ে চারবার চিনের বাধার জন্যই জঈশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। পুলওয়ামার সিআরপিএফ কনভয়ে নৃশংয় জঙ্গিহানার পর রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সভায় ভারত সর্বোতভাবে মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছিল ভারত। আমেরিকা ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের তরফেও মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকার শীর্ষে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু চিনের বাধার জন্য সেটা শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। এবার সেই চিন আন্তর্জাতিক পর্যায় নিজেদের ভাবমূর্তি বজায় রাখার জন্য পদক্ষেপ নিল। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলাকে নক্কারজনক বলে জানাল চিন। মুম্বই হামলাকে সন্ত্রাসবাদের ইতিহাসে সব থেকে নক্কারজনক ও নৃশংস বলেও উল্লেখ করেছে তারা। দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে চিন। সেখানেই মুম্বই হামলাকে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলাগুলির মধ্যে অন্যতম হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ফের বন্দুকবাজের হামলা, নেদারল্যান্ডসে ট্রামে আততায়ীদের গুলি, হত ১


২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে মুম্বইয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছিল লস্কর-ই-তৈবা। পাকিস্তানের মাটিতে বসেই এই জঙ্গি সংগঠনটি মুম্বই হামলার ছক কষে। এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৬৬ জন। লস্করের দশজন জঙ্গি মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় এই হামলা চালিয়েছিল। সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল নয় জন জঙ্গির। পরে একমাত্র জীবিত হিসাবে ধরা পড়া জঙ্গি আজমল কাশভের ফাঁসি হয়। মুম্বই হামলার ভয়াবহতা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। অবশেষে ১১ বছর পর চিন সেই হামলাকে নক্কারজনক বলে উল্লেখ করল। সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের এমন বাড়বাড়ন্ত উদ্বেগের বিষয় বলেও জানিয়েছে চিন। সন্ত্রাসবাদের এমন প্রসার বিশ্ব শান্তিতে বড়সড় প্রভাব ফেলছে, সে কথাও উল্লেখ করেছে চিন। এই মুহূর্তে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেসি চিন সফরে রয়েছেন। তাঁর উপস্থিতিতেই বেজিং এমন শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। 


আরও পড়ুন-  বিরল রোগে আক্রান্ত পারেভজ মুশারফ, ভর্তি দুবাইয়ের হাসপাতালে



সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ দমনে চিনের অবস্থান নিয়ে এর আগেও একাধিকবার ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে আমেরিকা। এর আগেও ভারত, আমেরিকা, ফ্রান্সসহ একাধিক দেশ জঈশ নেতা মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বারবারই রাষ্ট্রপুঞ্জে ভেটো দিতে থাকে চিন। যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল। অবশেষে কি চাপে পড়েই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে নিজেদের অবস্থান বদল করল চিন! উঠছে প্রশ্ন। যদিও বেজিংয়ের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গোটা বিশ্বে যেভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বেড়ে চলেছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। মুম্বই হামলা সন্ত্রাসবাদের ইতিহাসে অন্যতম নক্কারজনক ঘটনাগুলির একটি। চিন যে কোনওরকম সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত।