মৌলবাদের হিংসায় জ্বলছে বাংলাদেশ
মৌলবাদীদের তাণ্ডবে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাংলাদেশ। শুক্রবার দেশের ১২টি জামাতপন্থী সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের অপরাধীদের বিচার বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় তাণ্ডব চালায়। নতুন করে সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। এই ঘটনায় আগামী রবিবার দেশজুড়ে হরতালের ডাক দিয়েছে মৌলবাদীরা। সোমবার দিনভর বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।
মৌলবাদীদের তাণ্ডবে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাংলাদেশ। শুক্রবার দেশের ১২টি জামাতপন্থী সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের অপরাধীদের বিচার বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় তাণ্ডব চালায়। নতুন করে সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। এই ঘটনায় আগামী রবিবার দেশজুড়ে হরতালের ডাক দিয়েছে মৌলবাদীরা। সোমবার দিনভর বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।
শাহবাগের আন্দোলনকে ঘিরে বাংলাদেশে এখন দু`পক্ষ। একপক্ষ ধর্মনিরপেক্ষ উদার রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে সোচ্চার। অন্যপক্ষ তার বিরোধিতায় সরব। মুক্তিযুদ্ধের অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড না হওয়া পর্যন্ত তরুণ প্রজন্মের আন্দোলন চলবে। বাংলাদেশে বসন্ত বিদ্রোহের সেনানীরা বৃহস্পতিবারই শাহবাগ স্কোয়্যার থেকে এই শপথ নিয়েছিলেন। তারপরই শুক্রবার দেশজুড়ে তাণ্ডব চালাল মৌলবাদীরা। জামাতপন্থী ১২টি সংগঠন বায়তুল, মোকাররম, পল্টন, কাঁটাবন, মিরপুর এবং ধামমান্ডিতে তাণ্ডব চালায়। চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী জেলাতেও হামলার ঘটনা ঘটে। সিলেট, ঝিনাইদহ ও গাইবান্ধায় সংঘর্ষে এক মাদ্রাসা শিক্ষকসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
জামাতপন্থী বিক্ষোভকারীদের বাগে আনতে গিয়ে বেগ পেতে হয় পুলিসকেও। চট্টগ্রাম ও সিলেটে জাগরণমঞ্চে হামলা চালায় মৌলবাদীরা। চৌহাট্টা থেকে জিন্দাবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। শুক্রবারের হিংসায় সংবাদমাধ্যমের কয়েকজন কর্মী মৌলবাদীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারের তরফে এই ঘটনার কড়া নিন্দা করা হয়েছে।
কোর্ট পয়েন্টে শহিদ মিনারে হামলা চালিয়েছে মৌলবাদীরা। শাহবাগ বিরোধীরা বিভিন্ন জেলায় জাগরণ মঞ্চ হামলা চালায়। গাইবান্ধারে জামাতপন্থী বিভিন্ন সংগঠন পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাতে ৫০জন আহত হন। পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।