ওয়েব ডেস্ক: চিন কথাটা শুনলেই সবার আগে কী মাথায় আসে! হুঁ, জানি বলবেন, প্রযুক্তি, সস্তাতার ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, আর জনসংখ্যার কথা। নিন চিনকে চেনানোর আরও একটা জিনিস বলি। চিনের শিক্ষাব্যবস্থার একটা দিকের কথা জেনে রাখুন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিনের উচ্চশিক্ষায় প্রবেশিক পরীক্ষার গুরুত্ব অনেক। এর মাধ্যমেই চিন আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের ছাপ ফেলতে চাইছে। কিন্তু মুশকিল হল চিনের এই অতি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় বারবার টোকাটুকির অভিযোগ আসে। তাই চিনা সরকার এই পরীক্ষায় গণ টোকাটুকি বন্ধের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নেয়। চিনের এই পরীক্ষাকে স্থানীয়রা বলেন, গাওকাও। এই পরীক্ষায় টোকাটুকিতে ধরা পড়লে ৭ বছরের জেল হয়। পরীক্ষা হলের বাইরে চারদিকে সশস্ত্র সেনা, নিরাপত্তারক্ষী থাকে। পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে একটা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কেউ জোরে শব্দ করলে জরিমানা করা হয়। মহিলা পরীক্ষার্থীরা অন্তর্বাস পরতে পারেন না। ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ডিজিটাল ফোটো আইডি-র পাশাপাশি স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করা হয়।




যে মনে হবে কোনও এক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢুকে পড়েছেন। পরীক্ষার হলে অনেক সিসিটিভি দেওয়া থাকে। যে ফুটেজ পরীক্ষার জন্য অন্তত ৫০ জনের একটা দল থাকে। এমনকী ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হয়। এইটুকু পড়ে যদি আপনার মনে হয়ে থাকে চিনের সরকার বাড়াবাড়ি করে তাহলে ভুল হবে।


কারণ...চিনের ছাত্র-ছাত্রীরা টোকাটুকির জন্য এমন এক ধরনের হাইটেক পেন ব্যবহার করেন যাতে প্রশ্নের উত্তর আগে থেকেই লেখা থাকে। এমনই এক ধরনের পেন ব্যবহারের দায়ে ক বছর আগে ধরা পড়ে যায় গোয়াংঝাউ প্রদেশের এক ছাত্র। শুধু পেন নয় স্মার্ট শার্ট ব্যবহার করেও টোকাটুকি চলে। শার্টের ভিতর সার্কিটের মাধ্যমে কথা বলার জায়গা থাকে। বাইরে থেকে বোঝার কোনও উপায় নেই। চোখের চশমার ভিতরও এমন ধরনের চিপ ব্যবহার করা হয় যাতে টোকাটুকিটাকে একেবারে শিল্পের পর্যায়ে চলে যায়। আর কানের দুল, ঘড়ি, এমনকী ইলেকট্রনিক্স জুতোর মাধ্যমে টোকাটুকিটা তো একেবারে জলভাত।



এবার বুঝলেন চাইনিজ চিটিং কাকে বলে...