নিজস্ব প্রতিবেদন : ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের কাদ্‌স ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানি মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত। ইরাকি জঙ্গি সংগঠনের উপ-প্রধান আবু মেহদি আল মুহান্দিসকে শেষ করেও শান্ত হচ্ছে না আমেরিকা। এবার ইরানপন্থী যোদ্ধাদের কনভয়ে হামলা চালাল মার্কিন বিমান। জেনারেল কাসেম সোলেমানির শেষ যাত্রার আগেই ফের হামলা চালাল আমেরিকা। হাবেভাবে ট্রাম্পের বাহিনি বুঝিয়ে দিল, ইরানের হুমকিতে তারা বিন্দুমাত্র বিচলিত নয়। উল্টে ইরানকে জব্দ করতে যে তারা ছক কষে রেখেছে তারই ইঙ্গিত দিয়ে রাখল আমেরিকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইরান। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি বলেছিলেন, এই হামলার জন্য বড়সড় মূল্য চোকাতে হবে আমেরিকাকে। সোলেমানি ও মুহান্দিসের উপর হামলার দায় স্বীকার করলেও দ্বিতীয় হামলা নিয়ে মুখ খোলেনি আমেরিকা।  ইরাকি জঙ্গি সংগঠন পিপলস মোবিলাইজেশন ফোর্সের উপ-প্রধান ছিলেন  আবু মেহদি আল মুহান্দিস। সোলেমানি, আবু মেহদি আল মুহান্দিস ছাড়া আরও চারজনকে খতম করেছে দাবি করেছিল আমেরিকা। দ্বিতীয় হামলায় আরও পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। একের পর এক মার্কিন হামলায় ক্ষোভে ফুঁসছে তেহরান। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।


আরও পড়ুন-  ড্রোন হামলা, ইরানি কমান্ডারসহ ছ'জনকে নিকেষ করল আমেরিকা


ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য বলেছিলেন,ইরান ও পার্শ্ববর্তী দেশে মার্কিন কূটনীতিকদের প্রাণ নাশের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আর সে জন্যই সোলেমানি, মুহান্দিসদের হত্যা করার জন্য এগোতে হয়েছে তাঁদের। এদিকে, ইরান দাবি করেছিল, আইসিসিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সোলেমানির। তাঁর উপর মার্কিন হামলাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বলে দাবি করেছিল ইরান। যদিও ইরানের এই দাবি নস্যাত্ করেছে আমেরিকা। পোন্টাগন পাল্টা জানিয়েছে, সোলেমানির মৃত্যুতে বেজায় খুশি ইরানের জনগণ। এমনকী ইরানের বহু মানুষ নাকি রাস্তায় নেমে উত্সব পালন করছেন!