ড্রোন হামলা, ইরানি কমান্ডারসহ ছ'জনকে নিকেষ করল আমেরিকা
বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালায় আমেরিকা। বিস্ফোরণে জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে যায় কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানির গাড়ি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের কাদ্স ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানি মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত। ইরাকি জঙ্গি সংগঠনের উপ-প্রধান আবু মেহদি আল মুহান্দিসকেও নিকেষ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে আমেরিকা। আবু মহদি আল-মুহান্দিস আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জামাল জাফর ইব্রাহিমি নামে পরিচিত ছিলেন। বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালায় আমেরিকা। বিস্ফোরণে জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে যায় কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানির গাড়ি।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক টি এস্পার জানিয়েছেন, ইরাক ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে থাকা মার্কিন কূটনীতিকদের রক্ষার জন্যই এমন পদক্ষেপ নিতে হয়েছে তাঁদের। যদিও এই হামলার জন্য আমেরিকাকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ইরান। এই হামলার জন্য তাদের বড়সড় মূল্য চোকাতে হবে বলে জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি। ইরান দাবি করেছে, ISIS-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সোলেমানির ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাঁকে হত্য়ার পিছনে অন্য কোনও চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে ইরান। বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলায় সোলেমানি, ইব্রাহিমিসহ ছয়জনকে নিকেষ করেছে আমেরিকা।
আরও পড়ুন- বর্ষবরণের রাতে মর্মান্তিক ঘটনা! চিড়িয়াখানায় আগুনে পুড়ে অন্তত ৩০ গরিলা-শিম্পাঞ্জির মৃত্যু
কনভয়ে থাকা মোট তিনটি গাড়ির উপর হামলা চালানো হয়েছে। আমেরিকা জানানোর আগেই ইরানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সোলেমানিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে দেয়। ইরাকের শিয়া জঙ্গি সংগঠনগুলিও হামলার একটি ভিডিয়ো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ইতিমধ্যে আমেরিকার এই হামলাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বলে দাবি করেছে ইরান। মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পায়ো অবশ্য দাবি করেছেন, সোলেমানি, ইব্রাহিমিদের মৃত্যুতে ইরানের মানুষ বেজায় খুশি। তবে আমেরিকার এই সাহসী পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ডামাডোল সৃষ্টি করেছে। ইরান-আমেরিকার প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব কোথাও যেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের বীজ বুনতে শুরু করেছে।