কোনও পক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিশ্চয়তা না নিয়েই আজ দ্বিতীয় দফার নির্বাচন গ্রিসে
তীব্র আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেই আজ দ্বিতীয়বার নির্বাচনের মুখোমুখি গ্রিস। গত ৬ মে`র নির্বাচনে কোনও পক্ষই সরকার গড়ার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই আবার ভোট নেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে নটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রাত সাড়ে নটা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
তীব্র আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেই আজ দ্বিতীয়বার নির্বাচনের মুখোমুখি গ্রিস। গত ৬ মে`র নির্বাচনে কোনও পক্ষই সরকার গড়ার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই আবার ভোট নেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে নটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রাত সাড়ে নটা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
তীব্র আর্থিক সঙ্কট থেকে গ্রিসকে টেনে বের করতে ২০১০ সালে ১১০ বিলিয়ন ইউরোর বেল আউট প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। তাতেও আর্থিক সঙ্কট কাটেনি। ফলে ২০১১ সালে ১৩০ বিলিয়ন ইউরো অর্থমূল্যের আরেকটি বেল আউট প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু, এবার প্যাকেজের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু শর্ত। শর্ত হল, অনুদান পেতে হলে উন্নয়নমুখী বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ কঠোরভাবে কাটছাঁট করতে হবে গ্রিসের সরকারকে। জনতার কাছে ব্যয়সঙ্কোচের এই আবেদন নিয়েই ভোটে গিয়েছিল সমাজতন্ত্রী শাসক দল পাসোক। গত ৬ মে`র নির্বাচনে পরাস্ত হয় তারা। কিন্তু কোনও দলই সরকার গড়ার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
প্রধান বিরোধী দল নিউ ডেমোক্রেসি পায় ২০ শতাংশের কম ভোট। অন্যদিকে, বেল আউট প্যাকেজের শর্তগুলির তীব্র বিরোধিতা করে শক্তি বাড়ায় বামপন্থী দল সাইরিজা। তবে তাদেরও ভোট ছিল ১৭ শতাংশের কম।
কোনও রাজনৈতিক দলই সরকার গড়ার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ফের ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রবিবার ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে নটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে গ্রিসে। ভোটের দুই সপ্তাহ আগে থেকে এগজিট পোল রিপোর্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেদেশে। তার আগের সমীক্ষার যে হদিশ মিলেছে, তাতে স্পষ্ট এবার তীব্র লড়াই হবে সাইরিজা ও নিউ ডেমোক্রেসির মধ্যে। কিন্তু কোনও সমীক্ষাতেই স্পষ্ট বিজয়ীর কোনও হদিশ মেলেনি। এবারের ভোটে গ্রিসের জনতা কাকে বেছে নেন, তার ওপর নির্ভর করছে গোটা ইউরোজোনের আর্থিক পরিস্থিতি। মেক্সিকোয় সোমবার থেকে শুরু হতে চলা জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনেও গ্রিসের নির্বাচনের ফলাফল গভীর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বেল আউটের শর্ত না মানলে, গ্রিসকে ইউরোজোন থেকে বের করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ইতিমধ্যেই দিয়ে রেখেছে শিল্পোন্নত দেশগুলি। সেক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে আর্থিক সঙ্কট আরও গভীর হবে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।